নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে জেএনইউ-কে নকশালদের ডেরা বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং। কিন্তু সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপিই দাবি করেছে, অবিলম্বে জেএনইউ-রক হস্টেলে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। এমনকি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর পদত্যাগহও দাবি করেছেন এবিভিপি-র পড়ুয়ারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেএনইউ-র পাশে দাঁড়িয়ে মান্ডি হাউস থেকে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক পর্যন্ত পদযাত্রা করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। ওই ছাত্র সংসদ রয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দখলে। তবে মাঝপথে পড়ুয়াদের আটকে দেয় পুলিস। পদযাত্রায় জেএনইউ-র ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির, উচ্চপর্যায়ের কমিটি খারিজের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সোচ্চার হন সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। তাঁরা কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ারের পদত্যাগও দাবি করেন।         


কিন্তু জেএনইউ-কে যখন বন্ধ করার দাবি করছেন বিজেপির একাধিক নেতা, তখন এবিভিপি-র ভিন্ন অবস্থান কেন? দিল্লির এবিভিপি-র সম্পাদক সিদ্ধার্থ যাদব বলেন,''আমরা বিজেপিরর ছাত্র সংগঠন নই। যে দলের সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেন, আমরা ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করি।'' তিনি আরও বলেন,''মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ব্যর্থ। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাইছি।''



হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীরা। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির সংসদ অভিযান ভঙ্গ করে লাঠিচার্জ করে পুলিস। জখম হন বেশ কয়েকজন। ওই ঘটনায়  উত্তপ্ত হয় সংসদ। শনিবার নাগরিক পদযাত্রার ডাক দিয়েছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ। ওই পদযাত্রায় সমস্ত বামপন্থী সংগঠনের ছাত্রছাত্রী ও বাম মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের সামিল হওয়ার আবেদন করেছে তারা। হস্টেল ফি প্রত্যাহার, উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবি তাদের। শনিবার মান্ডি হাউস থেকে পদযাত্রা যাবে সংসদের উদ্দেশে। 


আরও পড়ুন- ছবি: এত ছটফট কেন করো? এক জায়গায় বসতে পারো না! মমতাকে বললেন হাসিনা 'দিদি'