ওয়েব ডেস্ক:  দলের ভেতর থেকেই এবার প্রতিবাদটা এল। বা বলা ভাল যে ছাত্রসমাজ আগামী দিনের দায়িত্বশীল নাগরিক হতে চলেছে, তাদেরই একজন দলকে 'চেতাবনি' শোনালেন। বিজেপি কর্মী সমর্থদের হাতে দলিত নিগ্রহের প্রতিবাদে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ছাত্রনেতা যতীন গোরায়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে সংগঠন থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) 'অনুপ্রেরণা সংগ্রহ করে থাকে' সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)-এরই ছাত্র সংগঠন এবিভিপির পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে তরুণ ছাত্রনেতা যতীন জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি এই জাতিবিদ্বেষী, পুরুষতান্ত্রিক এবং ফ্যাশিস্ত সংগঠনের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করছি।" এর পাশাপাশি এই ছাত্রনেতা আরও জানিয়েছেন যে ভারতে দলিত নিগ্রহের ঘটনায় তিনি 'ক্লান্ত'।


আরও পড়ুন- হিজাব ও দাড়ি বিরোধী ফতোয়ার জেরে কলেজে অশান্তি


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে একলাখের ঘটনা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালের গুজরাটের উনা, বারংবার বিজেপি ও তাদের চালিকাশক্তি আরএসএস-এর নাম জড়িয়েছে দলিত নিগ্রহ ও অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে। এবার সেই কারণেই দল ও সংগঠন ছাড়লেন এবিভিপির এক তরুণ নেতা। এ বিষয়ে এখনও বিজেপি বা আরএসএসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, গৈরিক বাহিনীর মার্গদর্শকদের এবার ভাবা উচিত তাদের দলীয় লাইন কী ঠিক পথে রয়েছে? কেন যতীন গোরায়ার মতো ছাত্রনেতার স্বপ্ন ও আদর্শে আঘাত লাগছে? তাদের আশা আকাঙ্খা পূরণে কেন ব্যার্থ হচ্ছে দল?