ওয়েব ডেস্ক: দিল্লির কাছেই গ্রেটার নয়ডায় নাইজিরিয় ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের কাছে রিপোর্ট চাইলেন সুষমা স্বরাজ। জাতিবিদ্বেষী হামলার অভিযোগে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলছেন আফ্রিকান ছাত্ররা। ক্ষোভ সামাল দিতে আজ তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রশাসন। ন-জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। (মুখে জ্যান্ত ইঁদুর নিয়ে যন্তরমন্তরে তামিলনাড়ুর কৃষকদের অভিনব প্রতিবাদ)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



গদিতে বসেই উত্তরপ্রদেশে গুণ্ডারাজ দমনের প্রতিশ্রুতি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সপ্তাহ শেষ হতেই বে-আব্রু হয়ে গেল যোগী-রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। শপিং মলের সামনে মাটিতে ফেলে গণপিটুনি। স্টিলের ডাস্টবিন দিয়ে বেদম মার। কারও সাহায্য পেলেন না তিন নাইজিরিয় ছাত্র। শনিবার, গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা সতেরো বছরের কিশোর মণীশ খারির হাসপাতালে মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, কয়েকজন নাইজিরিয় যুবক তাঁকে অপহরণ করে মাদক খাইয়ে দেয়। মাদকের ওভারডোজে মৃত্যুর অভিযোগে সোমবার সন্ধেয় বের হয় মোমবাতি মিছিল।


মিছিলকারীদের চোখে পড়ে রাস্তার পাশে শপিং মলের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। মিছিল থেকে তাঁদের দিকে ছুটে যান প্রায় ৩০০ জন। শুরু হয় বেদম মার। এক নাইজিরিয় ছাত্র টুইটে তাঁর হস্তক্ষেপ চাওয়ার পরই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেন সুষমা স্বরাজ। টুইটেই তিনি জানান, আফ্রিকার ছাত্রদের ওপর হামলা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।  


মঙ্গলবার, আহত ছাত্রদের দেখতে নাইজিরিয় হাই-কমিশনের প্রতিনিধিরা হাসপাতালে যান। গৌতম বুদ্ধ নগরের জেলাশাসকের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন তাঁরা। রাজধানী এলাকায় আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে জাতি-বিদ্বেষ নতুন নয়। গত সপ্তাহেই দিল্লির বসন্তকুঞ্জে কঙ্গোর নাগরিককে পিটিয়ে মারা হয়। গত বছর রাজধানীর ছত্তরপুরে কয়েকজন নাইজিরিয়কে বেদম মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এমন চলতে থাকলে ভারতকে বয়কট করার কথাও জানিয়েছে তারা।