Shraddha Walker murder case: এমনও হয়? শ্রদ্ধা খুনে আদালতের কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি আফতাবের!
আফতাবের আরও দাবি, তার সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত, তার `সবটা সত্যি নয়`। ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ার, সে অনেককিছু ঠিক মনে করতে পারছে না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রেমিকাকে খুন করেছে। খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করেছে। কিন্তু সেই সবই নাকি সে 'রাগের মাথায়'! কোনও পরিকল্পনা করে নয়। মুহূর্তের রাগেই নাকি নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের ঘটনায় এমনটাই দাবি করেছে ফুড ব্লগার লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনেওয়ালা। আদালতের কাছে তার দাবি, সে সবটাই করেছে 'ইন হিট অফ দ্য মোমেন্ট'। এমনকি তার আরও দাবি, তদন্তে সে পুলিসকে সহযোগিতা করছে। আর তার সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত, তার 'সবটা সত্যি নয়'। পাশাপাশি, শ্রদ্ধার টুকরো করা দেহাংশ কোথায় কোথায় ফেলেছে, সেই ম্যাপও সে পুলিসকে দিয়েছে। আদালতকে এদিন আফতাব আশ্বস্ত করে যে, সে এই ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য-ই পুলিসকে দেবে। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ার, সে অনেককিছু ঠিক মনে করতে পারছে না। উল্লেখ্য, দিল্লির সাকেত আদালত এদিন আফতাব পুনেওয়ালার পুলিসি হেফাজতের মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।
লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছে দেশবাসী। খুনের ভয়াবহতা, নৃশংসতা শিরদাঁড়া দিয়ে বইয়েছে ঠান্ডা স্রোত। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, মাঝ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু বের করে তার সঙ্গে কথাও বলত সে। এমনকি মেক-আপও করে দিত শ্রদ্ধার কাটা মণ্ডুতে! এরপর সেই কাটা মুণ্ডু জঙ্গলে ফেলার সময়, যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়েও দেয় ফুড ব্লগার আফতাব।
আরও পড়ুন, ধর্ষণ নিজের মেয়েকেই, জেলের ভিতর মন্ত্রীর পায়ে ফুট ম্যাসাজ সেই ধর্ষকের!
শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। জেরায় আফতাব কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়! তদন্তে রহস্যের জট যত খুলছে, ততই সামনে আসছে একের পর এর চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন, ভয়ংকর! ভিডিয়ো কলে সিনিয়র ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ চিরতে বাধ্য করল জুনিয়র
জানা গিয়েছে, নির্মমভাবে খুন হওয়ারও আগে, লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনেওয়ালার হাতে একবার নির্যাতন শিকার হয়েছিলেন শ্রদ্ধা। সেইসময় শ্রদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করে আফতাব। যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হতে হয়েছিল শ্রদ্ধাকে। ৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। উল্লেখ্য, শ্রদ্ধার ওয়াকারের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই আফতাবের 'ডুয়াল পার্সোনালিটি' ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। বাস্তবে নৃশংস! কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মানবতার’ প্রতীক আফতাব!