জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোনও রাখঢাক নেই। কোনও তাপ-অনুতাপও নেই। সোজাসুজি ও স্পষ্ট। প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিল লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনেওয়ালা। পলিগ্রাফ টেস্টে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা কবুল করল আফতাব। যদিও পলিগ্রাফ টেস্টে বা নার্কো অ্যানালিসিসের সময় অভিযুক্তে স্বীকারোক্তি মুখ্য প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয় না, তবুও এই স্বীকারোক্তি তদন্তে অনেকখানি সহায়তা করে। সাহায্য করে বাকি প্রমাণগুলিতে খুঁজে পেতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পলিগ্রাফ টেস্টের পর আফতাবের লাই ডিটেকশন টেস্ট হওয়ার কথা। ১ ডিসেম্বর সেই লাই ডিটেকশন টেস্ট হবে। নার্কো অ্যানালিসিসেরই অন্তর্ভুক্ত এই  লাই ডিটেকশন টেস্ট। মঙ্গলবার স্থানীয় আদালত দিল্লি পুলিসকে আফতাবের নার্কো টেস্টের জন্য অনুমতি দেয়। এই নার্কো টেস্টের জন্য ১ ও ৫ ডিসেম্বর দিল্লির রোহিণী এলাকায় একটি ল্যাবরেটরিতে আফতাবকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। এই নার্কো টেস্টে ইনট্রাভেনাস ইনজেকশন দেওয়া হয়। যাকে বলা হয়ে থাকে 'ট্রুথ সিরাম'। 


'ট্রুথ সিরাম' হিসাবে অভিযুক্তের শরীরে সোডিয়াম পেনটোথাল, স্কোপোল্যামাইন ও সোডিয়াম অ্যামাইটাল প্রয়োগ করা হয়। যা কিনা সেই ব্যক্তি অ্যানাসথেশিয়ার বিভিন্ন স্তরে নিয়ে যায়। সেই হাইপনোটিক দশায় কোনও ব্যক্তির আড়াল করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সে অচেতন অবস্থায় সত্যিটা বলে দেয়। ফলে তদন্তকারীদের হাতে চলে আসে একাধিক তথ্য। প্রসঙ্গত, লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ভয়াবহতা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে। 


প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। 


আরও পড়ুন, Gang rape: ওত পেতে বিপদ! যুবতীকে গণধর্ষণ বাইক ট্যাক্সি চালক ও সহযোগীর


ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়! যদিও আদালতের কাছে আফতাবের দাবি, সবই নাকি সে করেছে 'ইন হিট অফ দ্য মোমেন্ট'। এমনকি তদন্তে সে পুলিসকে সহযোগিতাও করছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)