জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিনা ছুরিতেই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে আফতাব। হাত কাটে প্রথমে। শ্রদ্ধা খুনের তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস সূত্রে খবর, চিনা ছুরি ক্লিভার দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করেছিল আফতাব। আফতাবের মেহরৌলির ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে এরকম অসংখ্য ধারালো অস্ত্র।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত,  'রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছি', নার্কো টেস্টে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি করেছে আফতাব। এমনকী, প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের জামা-কাপড়, মোবাইল ও খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় ফেলেছিল, সেকথাও জানায় অভিযুক্ত।  পলিগ্রাফ টেস্টেও নির্দ্বিধায় অপরাধ স্বীকার করেছিল আফতাব। যদিও নার্কো টেস্ট বা পলিগ্রাফ টেস্টে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি আদালতে প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হয় না। তা আদালতে পেশ করা যাবে না। কিন্তু এই স্বীকারোক্তি তদন্তকে অনেকটাই সাহায্য করে। প্রমাণ সংগ্রহের কাজ সহজ হয়।


লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ভয়াবহতা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে। চলতি বছর মে মাসে খুন হন শ্রদ্ধা। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। 


আরও পড়ুন, 'শ্রদ্ধাকে ৩৫ করেছিল, তোমায় আমি ৭০ টুকরো করব!'


ট্রেনের জানলা ভেঙে ঢোকা লোহার রডে এফোঁড়-ওফোঁড় যাত্রীর গলা!


পাশাপাশি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব। ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)