নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ২০ এপ্রিলের পর থেকেই লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্ণাটক সরকার। শনিবার সকালে সরকারিভাবে সেই ঘোষণাও করা হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে বদলে গেল সব সিদ্ধান্ত। এক লাফে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাইল না প্রশাসন। ২০ এপ্রিলের পরেও জারি থাকবে সম্পুর্ণ লকডাউন, জানিয়ে দিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৪ মে একবারে লকডাউন তোলার চেষ্টা করা হলে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা। তার সঙ্গে প্রয়োজন ধীরে ধীরে অর্থনীতিতে গতি আনার। তাছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি হারে না বাড়ায় ধীরে ধীরে লকডাউন লঘু করার পরিকল্পনা করেছিল কর্ণাটক সরকার। সেই মতো ২০ এপ্রিল থেকে হটস্পট নয় এমন স্থানগুলিতে দুই চাকার যান চলাচলে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল শনিবার। শুধু তাই নয়, জরুরি দ্রব্য, ইমারতি দ্রব্য পরিবহণ করায় ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছিল। আইটি, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি সেক্টরে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে বলা হয়েছিল। সরকারি দফতরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হত এই নিয়ম। তার জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বিধিও। 


শনিবার এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যদিও বদলে যায় ছবিটা। শনিবার পর পর ২৫ জন নতুন আক্রান্তের খবর মেলে কর্ণাটকে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮৪-এ। "এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০৪ জন চিকিত্সায় সুস্থ হয়েছেন," জানায় কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতর।


 শনিবার দিনের শেষে পরিস্থিতি দেখে পরিকল্পনায় অনড় থাকতে পারল না কর্ণাটক সরকার। এমন পরিস্থিতিতে হঠাত্ করো অগত্যা লকডাউনের কড়াকড়ি জারি রাখাই এখন নিরাপদ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


"আগামী ৩ মে পর্যন্ত পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে," ঘোষণা করেন ইয়েদুরাপ্পা। তার সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বা ইমারতি দ্রব্যের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। তবে, সরকারের চিহ্নিত ৩২টি স্প্শকাতর এলাকায় এই ছাড় প্রযোজ্য হবে না।


আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন তো দূর, কুমারস্বামীর ছেলের বিয়ের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার!