নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের কেন্দ্রে তো হেরেইছেন, সার্বিকভাবে দলও নিজের রাজ্যে কার্যত গোহারা। এর দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন উত্তর প্রদেশের প্রদেশ সভাপতি রাজ ব্বর। জানা যাচ্ছে, খোদ রাহুল গান্ধী-ও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কংগ্রেসে এ হেন ভরাডুবিতে এ বার ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে দলের অন্দরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ওড়িশা এবং কর্নাটকে কার্যত ধুয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। এখনও কর্নাটকে সরকার চালাচ্ছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। এর পরও ভরাডুবি হওয়ায় কর্নাটকের কংগ্রেসের প্রচার-প্রবন্ধক এইচ কে পাতিল ইস্তফা দেন। ওড়িশায় ২১টি আসনে মাত্র একটি দখল করতে পারে কংগ্রেস। নবীন পট্টনায়েকের বিজেডির দাপটে কংগ্রেস এবং বিজেপি ওড়িশায় কোণঠাসা। সে রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি নীরাঞ্জন পট্টনায়েকও ইস্তফা দেন।


আরও পড়ুন- হারের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর


এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশায় রয়েছে রাহুল গান্ধীর সভাপতি পদ নিয়ে। গত কাল সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রাহুল বলেন, ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। এটি ওয়ার্কিং কমিটি ও তাঁর বিষয় বলে এ দিন স্পষ্ট করেন রাহুল। আগামিকাল বসবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। গান্ধী পরিবারের দুর্গ বলে পরিচিত অমেঠিতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল। যা ঐতিহাসিক এবং নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্য একটি কেনদ্র ওয়াইনাড থেকে যদিও বিপুল ভোটে জয় পান রাহুল। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, অমেঠি থেকে লড়ে দেখাক রাহুল।


উত্তর প্রদেশে সনিয়ার রায়বেরেলি ছাড়া আর একটি আসনও দখলে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। বলাই যায়, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে ময়দানে নামিয়ে যে চমক দিয়েছিল কংগ্রেস, তা ভোটবাক্স প্রতিফলন হয়নি। উত্তর প্রদেশ পূর্ব এবং পশ্চিমে যথাক্রমে দায়িত্বে ছিলেন দুই তরুণ তুর্কি প্রিয়ঙ্কা এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। জ্যোতিরাদিত্যকেও বশ্যতা স্বীকার করতে হয় মোদীর ঝড়ে।