সংবাদ সংস্থা: মোদীর নোট বাতিলের বছর ঘুরতে বাকি আর একটা দিন। গত বছর ৮ নভেম্বর রাতে ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লক্ষ্য ছিল কালো টাকা দেশে ফেরানো। কিন্তু বছরভর লড়াইয়ের পরও কি দেশে ফিরেছে সেই টাকা? এ নিয়ে বিস্তর অঙ্ক কষাকষি চলছে বিভিন্ন মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোট বাতিলের ফলে সন্ত্রাসবাদীদের টাকার যোগান বন্ধ হবে বলে সরকারি দাবিও বছর ঘুরতে ঘুরতে প্রশ্নের মুখে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদী সরকারেরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি পরিসংখ্যান বলছে, নোট বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২,৫০০ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ২ শতাংশ নিরাপত্তা রক্ষীর। নকশাল প্রভাবিত এলাকায় ৪৫ শতাংশেরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু বেড়েছে ৮২ শতাংশ।


আরও জানান- ভারতীয় মহিলাদের অর্ধেকেই ভুগছেন রক্তাল্পতায়, সংখ্যাটা বিশ্বের সর্বাধিক 


নোট বাতিলের পর হিসাব বহির্ভূত টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়বে বলে মনে করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সুযোগে কালোটাকা চিহ্নিত করতে পারবে আয়কর বিভাগ। গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি জানিয়েছিলেন, মোট নোট বাতিলের (১৫.৪৪ লাক্ষ কোটি) ২৫ শতাংশ টাকা কালো টাকা হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, নোট বাতিলের পর মাত্র এক শতাংশ টাকা ব্যাঙ্কে ফেরত আসেনি।


আরও পড়ুন- ‘কারও ভাইপো হোক বা আত্মীয়, জঙ্গিমুক্ত করা হবে উপত্যকা’


তবে নোট বাতিলের সাফল্যের দাবি থেকে পিছু হঠতে রাজি নয় কেন্দ্র। তাদের দাবি, নোট বাতিলের পর থেকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উপর তদন্ত চালিয়ে ১০০৩ কোটি টাকা হিসাব বহির্ভূত অর্থ উদ্ধার করেছে কেন্দ্র। এবং এর সঙ্গে আরও ১৭,৫২৬ কোটি কালো টাকা শনাক্ত করা গিয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকার আরও দাবি, ৩৫ হাজার ভুয়ো কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।