ওয়েব ডেস্ক: ডোকলাম নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েনের মধ্যে ফের চিনা অনুপ্রবেশ উত্তরাখণ্ডের বারাহটিতে। অজিত ডোভালের চিন দৌত্যের দুদিন আগেই ঘটে এই ঘটনা। সীমান্তের প্রায় ১ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আসে চিনা সেনা। তবে, অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনা। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার উত্তরাখণ্ড। ফের চিনা অনুপ্রবেশ। ফের ড্রাগনের চোখরাঙানি। উত্তরাখণ্ডের বারাহটিতে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে এল চিনা সেনা। অরুণাচলে বারবার অনুপ্রবেশ ঘটেছে পিপলস লিবারেশন আর্মির। নাথু লায় চিনা অনুপ্রবেশ নতুন নয়। লাল চোখের চোখরাঙানির কাছে অবশ্য কখনই মাথা নত করেনি ভারত। বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর আগ্রাসী পিপলস লিবারেশন আর্মি। ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তে ডোকা লায় ঠায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারতীয় ও চিনা সেনা। উত্তেজনা কমার লক্ষণ নেই।



ভারত-চিন সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে সিকিমে রয়েছে ২২০ কিলোমিটার সীমান্ত রেখা। অরুণাচল ও লাদাখেও রয়েছে চিনের দখলদারির চেষ্টা। ডোকালায় চিনা সেনার আগ্রাসী নীতি এবার জম্মু-কাশ্মীর ও অরুণাচলেও ছড়িয়ে দিতে পারে বেজিং। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ফের ড্রাগনের হুঙ্কার। আবার চিনা অনুপ্রবেশ। এবার উত্তরাখণ্ড। গত ২৫ জুলাই সকাল ৯টা নাগাদ উত্তরাখণ্ডের বারাহটিতে ভারতীয় সীমায় ঢুকে পড়ে প্রায় ১৫জন চিনা সেনার একটি দল। ভারতীয় ভূখণ্ডে ৮০০ মিটার থেকে প্রায় ১‍ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে আসে তারা। প্রায় ২ ঘণ্টা পর তারা পিছু হঠে বলে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। এর আগেও একবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা।


চিনা অনুপ্রবেশে ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল দেশের নিরাপত্তা। বারাহটি এমন একটা জায়গা, যেখানে পাহারা দেয় নিরস্ত্র সৈনিক। তাদের কাছে কোনও অস্ত্রশস্ত্র থাকে না। তবে চিনা অনুপ্রবেশের এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, গত ২৫ জুলাই উত্তরাখণ্ডের বারাহটিতে চিনা অনুপ্রবেশের কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর।