নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার পর এবার লক্ষ্য তামিলনাড়ু, কেরল। বললেন বিজেপি বিধায়ক তথা দলের ‘মাস্টার মাইন্ড’ হেমান্ত বিশ্ব শর্মা। কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। যে লক্ষ্য নিয়ে গত দু’বছর পূর্ব-উত্তর ভারতে ঝাঁপানো হয়েছে, গতকাল পশ্চিমবঙ্গে ভাল ফলের পরই তার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন হেমান্ত। বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পিছনের মমতার ‘অবদানকেই’ কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। হেমান্তের পালটা অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই মেরুকরণের রাজনীতি খেলছে। সে রাজ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারণ করা যায় না। হেমান্ত মনে করেন, ‘জয় শ্রী রাম’ বিতর্কই শেষ মুহূর্তে বাংলায় ক্লাইমেক্স তৈরি করে। শ্রী রাম ভারতীয় সভ্যাতার হিরো বলে সম্বোধন করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কেরল ও তামিলনাড়ুতে কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। তামিলনাড়ুতে এডিএমকে-র সঙ্গে জোট করে বিজেপি লড়ে। সেখানে জয়ললিতার দল মাত্র একটি আসন পায়। বিজেপি পায় শূন্য। কেরলেও কোনও আসন মেলেনি তাদের। বলা বাহুল্য, সবরীমালা বিতর্কেও বিজেপি কোনও ফায়দা তুলতে পারেনি বাম শাসিত কেরলে। এখানে কংগ্রেস আশাব্যঞ্জক ফল করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব শর্মার দাবি, আগামী পাঁচ বছরে এই দুই রাজ্যকে পাখির চোখ করে এগোবে বিজেপি।


আরও পড়ুন- জামিনের আবেদন শুনল না সুপ্রিম কোর্ট, রাত ১২টার পর যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন রাজীব


বিজেপি ও শরিকদের ব্যাপক সাফল্যের কৃতিত্ব অমিত শাহকে দিতে চান অসমের বিধায়ক হেমান্ত। তিনি বলেন, সংগঠনের ভার হাতে নেওয়ার পরই অমিত শাহ বলেছিলেন এ বার উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করবে বিজেপি। তা তিনি করে দেখিয়েছেন বলে দাবি হেমান্তের। তাঁর কথায়, অমিত শাহের এই আগ্রাসন নীতি ভীষণ পছন্দ করেন। অসম যে এনআরসি বিতর্ক সাধারণ মানুষের মনে ছাপ ফেলেনি, ভোটের ফলেই তা প্রমাণ বলে দাবি করেন হেমান্ত। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশি উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষ মোদীকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। সভ্যতার মূল্য বোঝেন তিনি।”