সামনেই পুরভোট, তৃণমূল প্রার্থীদের মনোবল বাড়াতে ফের ত্রিপুরায় অভিষেক
প্রার্থী ও দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই ফের পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন অভিষেক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ নভেম্বর আগরতলায় পুরসভার ভোট। আগরতলা সহ ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। তার আগে ২৩ নভেম্বর সেখানে প্রচার শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে ৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার প্রার্থী ও দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই ফের পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন অভিষেক।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বার বার হামলা হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের জায়গা থেকে পিছু হটতে নারাজ তাঁরা। আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ত্রিপুরার মাটিতে নিজেদের জায়গা তৈরি করবেন।চলতি মাসের শুরুতেও ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক। বিপ্লব দেবের সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এসেছিলেন তিনি। সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকতেই ফের ত্রিপুরা সফর তাঁর।
আরও পড়ুন, Farmers Protest: উত্তাপ বাড়তে চলেছে দিল্লির! শীত অধিবেশনে রোজ সংসদ পর্যন্ত ট্রাক্টর মিছিল কৃষকদের
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য ৩ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত – মোট ২০ টি পুর ও নগর সংস্থায় আসন রয়েছে ৩৩৪টি।
নির্বাচন শিয়রেই, সেখানে নির্দিষ্টভাবে সফরসূচী জানা না গেলেও সূত্রের খবর, প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন তিনি। বার্তা দিতে পারেন ভোটারদেরও। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ত্রিপুরায় গিয়ে সভা করেছিলেন তিনি। সেই সভায় বিপ্লব দেবের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘আজ খুঁটিপুজো হল, ২০২৩-এ হবে বিসর্জন। বিজেপিকে আনা মানে খাল কেটে কুমির আনা। বিজেপি এলে ত্রিপুরা হবে আফগানিস্তান।’
পশ্চিমবঙ্গে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ ত্রিপুরা। বাংলার একাধিক মন্ত্রী থেকে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা গত কয়েক মাস ধরেই লাগাতার পার্শ্বর্তী ওই রাজ্যে পড়ে রয়েছেন। দলের মহিলা সাংসদ থেকে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বরা হামলারও শিকার হয়েছেন।