নিজস্ব প্রতিবেদন : এক সপ্তাহের জন্য শাট ডাউন গুজরাতের আহমেদাবাদে। করোনাভাইরাস সতর্কতায় বুধবার মধ্যরাত থেকে সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেল গুজরাতের রাজধানী। সকাল থেকে শুধুই রাস্তায়, আলিতে-গলিতে মাস্ক পরা আধাসেনার ভারী বুটের শব্দ। শুধু দুধ, অত্যন্ত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধের দোকান খোলা। আগামী এক সপ্তাহ এভাবেই কড়া সামাজিক দূরত্ব বিধিতে মুড়ে দেওয়া হল আহমেদাবাদকে।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবারই পাঁচ কোম্পানি আধাসেনা এসে পৌঁছায় আহমেদাবাদে। সকাল থেকেই লাঠি হাতে শহরের অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এক সপ্তাহের জন্য সমস্ত দোকান বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে আহমেদাবাদের পৌরসভা। এমনকি রাস্তায় সবজির ঠেলাগাড়ি থেকেও বেশ কিছু সংক্রমণের ঘটনার পর তাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আহমেদাবাদ পৌরসভা।

দেশে মুম্বইয়ের পরেই সবথেকে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গুজরাটে। এখনও পর্যন্ত গুজরাটে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬২৫। মৃত ৩৯৬-এরও অধিক। ফলে সামাজিক দূরত্ববিধিতে আরও কড়াকড়ি আনা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না প্রশাসনের।
সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি শহরের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বাধ্যতামূলকভাবে খোলা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোট ১০০০টি শয্যাবিশিষ্ট ৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছে পৌরসভা।

শুধু আহমেদাবাদই নয়, একইভাবে শনিবার থেকে শাট ডাউন শুরু হতে চলেছে সুরাটে। মানুষের চলাচল, বাইরে বের হওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করতে আপাতত শাট ডাউনেই ভরসা প্রশাসনের। লকডাউনের মধ্যেও মজুত করার জন্য অহেতুক খাদ্যদ্রব্য কিনতে বের হওয়া, দোকানের বাইরে লম্বা লাইন ইত্যাদি বন্ধ করতেই এমন পদক্ষেপ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বহুক্ষেত্রেই বাসিন্দারা লকডাউনের বিধি মানছিলেন না। এর ফলে সংক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলছিল। ফলে আরও কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হল প্রশাসন। 

আরও পড়ুন: ভর্তি নেয়নি কোনও হাসপাতাল, ৪ জায়গায় ঘুরে 'বিনা চিকিৎসায়' মৃত্যু দিল্লির কনস্টেবলের