ওয়েব ডেস্ক: আহমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-কে নিয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, ওই প্রকল্পের শিলান্যাসের পরপরই একধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্পটি নিয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জমি অধিগ্রহণ


আহমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেন রুট তৈরির প্রধান বাধা হল জমি। রুটটি তৈরি জন্য ‌যে জমির প্রয়োজন তা এখনও রেলের হাতে নেই। এর জন্য আরও জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। এই রুটের জন্য শহরের বেশকিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এর জন্য ভাঙতে হবে বহু ঘরবাড়ি। এছাড়া বনাঞ্চলও ধ্বংস করতে হবে। ফলে মামলার জন্য প্রকল্পে আটকে ‌যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


স্টেশন


স্টেশন তৈরি ও স্টপেজ নিয়ে রাজনৈতিক সমস্য তৈরি হতে পারে। দেশের একাধিক সুপারফাস্ট ট্রেনের ‌যাত্রাপথে রাজনৈতিক চাপে পড়ে একাধিক স্টপ তৈরি হওয়ায় ট্রেনের গতি গেছে কমে। আপাতত বুলেট ট্রেনের ‌যাত্রাপথে ১০টি স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ওই ১০টি জায়গায় থামলে আহমেবাদ থেকে মুম্বই প‌র্যন্ত ‌বুলেট ট্রেনের ‌যেতে সময় লাগবে ২.৫৮ ঘণ্টা। স্টপের সংখ্যা কম করার কথা চলেছে। গুজরাতে মোট ২টি স্টপ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ‌যাত্রা পথের সময় কমবে ৫৮ মিনিট।


কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা


বুলেট ট্রেনের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২৩ সালের মধ্যে। কিন্তু পীয়ুষ গোয়েল ওই ডেডলাইন কমিয়ে ২০২২ সাল করে দিয়েছেন। পাহাড়ি রাস্তায় লাইন পাতা, জমি অধিগ্রহণ-সবকিছু মিলিয়ে ওই ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।


নিরাপত্তা


গত ৫ বছরে ভারতে ৫৯০টি রেল দুর্ঘটনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়েছে ট্রেন বেলাইন হয়ে। কারণ লাইন ঠিকমতো তদারক করা হয়নি। জাপানের বুলেট ট্রেন প্রায় একশো শতাংশ নিরাপদ। এখনও প‌র্যন্ত জাপানি বুলেট ট্রেনে লেট হয় গড়ে এক মিনিটেরও কম। বুলেট ট্রেনের লাইনের প্রায় নব্বই শতাংশই হবে এলিভেটে়ড। এর পরেও রেলের তদারকি নিয়ে প্রশ্ন থেকে ‌যাচ্ছে।


আরও পড়ুন-ভারতের 'বুলেট দৌড়' শুরুর দিনেই বেলাইন রাজধানী