নিজস্ব প্রতিবেদন: খেলোয়াড়দের নৈপূণ্যে উপভোগ্য হয়ে ওঠে খেলা। কিন্তু অনেক সময় না খেলে মাঠের ধারে বসে থাকাটাই হয়ে ওঠে 'বড় খেলা'। লোকসভায় প্রায় নিশ্চিত আস্থা ভোটে আপাতত এই 'বড় খেলা'টাই খেলতে চলছে বেশ কিছু দল। সূত্রের খবর, এনডিএ শরিক বিজেডি ও এআইএডিএমকে ভোটের দিন উপস্থিত না থেকে স্বস্তি দেবে বড় শরিক বিজেপি-কে। তবে, শিবসেনা এখনও পর্যন্ত কী অবস্থান নেবে তা স্পষ্ট করেনি। সঞ্জয় রাউত এদিন বলেন, উদ্ধব ঠাকরে যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী কাজ করবেন সাংসদরা। এছাড়া তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস)-ও কংগ্রেসের স্পর্শ বাঁচাতে অনুপস্থিত থাকবে আস্থা ভোটের দিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার লোকসভায় গৃহীত হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ মর্যাদা দাবি করে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে সে রাজ্যের শাসক দল টিডিপি। চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে কংগ্রেস এবং এই ইস্যুতে আস্থাভোট হলে সরকারের বিপক্ষে ভোট দিতে চলেছে একাধিক বিরোধী দল। তবে অনাস্থা প্রস্তাব এনে মোদী সরকারের পতন ঘটানো কার্যত অসম্ভব। তবুও, হিসাব-নিকাশ করে কৌশল রচনার বিষয়ে পিছিয়ে নেই কোন পক্ষই। মঙ্গলবারই গেরুয়া শিবিরকে সমঝে দেওয়ার সুরে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, "কে বলেছে, আমাদের পক্ষে সংখ্যা (সরকার ফেলার মতো) নেই"? আরও পড়ুন- অনাস্থায় কী করবে শিবসেনা, জল্পনা দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দে


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। একাধিক ইস্যুতে সরকার পক্ষকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস, টৃণমূল, টিডিপি, সপা-সহ মোট ১২টি বিরোধী দল। তবে, প্রথমে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না বললেও, অধিবেশনের প্রথম দিনই তা গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন। আর বিজেপির এই অনাস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্তকেই আবার মাস্টার প্ল্যান বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আস্থা ভোটে জয় যে নিশ্চিত সে কথা জানে বিজেপি। আর এই ভোটে বিরোধীরা হারলে, তাদের আর মুখ খোলার পরিস্থিতি থাকবে অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে। আর এরই মধ্যে একাধিক বিল পাশ করাবে সরকার।