Kerala: অভিনব! উদ্ধারকারীদের জন্য হাসপাতাল তৈরি করছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীরাই
২০২০ সালে কেরলের কারিপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৯ জন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২ বছর পার। রাতে যখন ভেঙে পড়েছিল যাত্রীবাহী বিমান, তখন প্রথমে উদ্ধার কাজে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন বহু যাত্রীর। 'বিপদে বন্ধু'দের ভোলেননি সেই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রীরা, এমনকী নিহতদের পরিবারের লোকেরাও। এলাকায় সরকারি হাসপাতাল জন্য একটি ভবন তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। জোগাড় করে ফেলেছেন ৫০ লক্ষ টাকা!
দিনটা ছিল, ২০২০ সালের ৭ অগাস্ট। সেদিন দুবাই থেকে ১৯০ জন্য যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। গন্তব্য, কেরলের কারিপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু রাতে অবতরণ করার সময়ে ঘটে দুর্ঘটনা। ৩৫ ফুট গভীর খাদে ভেঙে পড়ার পর দু'টুকরো হয়ে যায় বিমানটি! পাইলট ও সহকারি পাইলট-সহ প্রাণ হারান ১৯ জন যাত্রীরা।
কখন, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে, তা তো আর আগে বলা যায় না। সেকারণেই প্রত্যেকটি বিমান সংস্থাই যাত্রীদের জন্য বিমা করে রাখে। সেই টাকা আদায় করার জন্য় জোট বাঁধেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানের জীবিত ও নিহতের যাত্রীদের পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় মালবার ডেভাপমেন্ট ফোরামের অধীনে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় যাঁরা আহত ও নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের সকলেই বিমান সংস্থার কাছ থেকে বিমার টাকাও পেয়ে গিয়েছেন। সেই টাকা থেকেই দুর্ঘটনাস্থল কাছে সরকারি হাসপাতাল জন্য ভবন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: 100% লভ! HIV+ প্রেমিকের রক্ত নিজের শরীরে ইনজেক্ট করল পনেরোর কিশোরী.
কেন? মালবার ডেভাপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আব্দুরহিমান এদাক্কুনি জানিয়েছেন, 'যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখান থেকে হাসপাতাল ৮ কিমি দূরে। কাছেই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। সেদিন যাঁরা প্রথম উদ্ধার কাজে নেমেছে, তাঁদের জন্য় হাসপাতাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এভাবেই তাঁদের আমরা কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই'। বস্তুত, এবছরের ৭ অগাস্ট দুর্ঘটনার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে হাসপাতাল তৈরি জন্য জেলার মেডিক্য়াল অফিসার উপস্থিতিতে মউ স্বাক্ষর পর্বও মিটেছে। কবে হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হবে? মালবার ডেভাপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান বলেন, 'স্বাস্থ্য় দফতরের অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব'।
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের সবাই যে একই পরিমাণ আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন, তা কিন্তু নয়। যাঁর আঘাত যেমন, তিনি তেমন টাকা পেয়েছে। সূত্রে খবর, 'কেউ কেউ ৭ লক্ষ টাকা পেয়েছেন, আবার অনেকে ১ কোটি টাকাও পেয়েছেন। এমনকী, যাঁদের আঘাত গুরুতর, তাঁদের ৫ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে'।