ওয়েব ডেস্ক: রায়পুরের বাগান পে লোডার দিয়ে খুঁড়তেই বেড়িয়ে এল হাড়গোড়। একদম উদয়নের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকেই। মিলেছে দুটি মাথার খুলিই। উদ্ধার হয়েছে গয়না, পোশাকের অংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাজানো লন, ফুলের বাগান। সেই মাটির গভীরেই লুকিয়ে ছিল সব রহস্য... শুধু আকাঙ্ক্ষাই নয়, সে খুন করেছে নিজের মা-বাবাকেও। মেরে পুঁতে রেখেছে রায়পুরের বাড়ির বাগানে... চাঞ্চল্যকর বয়ানের পরেই ভোপাল থেকে রায়পুরের সুন্দরনগরে নিয়ে আসা হয় উদয়নকে। তার দেখিয়ে দেওয়া জায়গা চিহ্নিত করে এগারোটা চল্লিশ নাগাদ শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। আনা হয় এক প্রত্নতাত্ত্বিককেও।


খোঁড়াখুড়ির কাজে লাগানো হয় ছজনকে। পাশে পুলিসের সঙ্গে ঠায় দাঁড়িয়ে উদয়ন।  কাজে গতি আনতে কিছুক্ষণ পর নিয়ে আসা হয় পে লোডার। খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক হাড়গোড়... বেলা একটা নাগাদ বেড়িয়ে আসে প্রথম মাথার খুলি। সঙ্গে প্রচুর হাড়গোড়... উদ্ধার চুড়ি পড়া হাতের হাড়। মিলেছে সোনার চুড়ি, চেন, কাচের চুড়ির ভাঙা অংশ,আংটি। মাটি খোঁড়ার লোহার অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে শাড়ি, শার্ট, বেল্টের অংশ।


আরও পড়ুন



সব দেখে পুলিস নিশ্চিত নিঁখুত পরিকল্পনা মাফিক পুরোটা করে ছিল উদয়ন। প্রায় সাড়ে ৩ ফুটের বেশি মাটি খুঁড়ে দেহ পুঁতে দেয় সে। তার উপরে ফেলে সিমেন্টের বস্তা। ২০১৪-য় বাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। নতুন মালিক বাগান করতে আরও আড়াই ফুট মাটি ফেলেন। ২০১১-র ঘটনা। অবশেষে পর্দা উঠল ...


পুলিসের প্রাথমিক অনুমান উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ বয়স্ক দুই ব্যক্তির। দেহ কার তা জানতে হায়দরাবাদে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। করা হবে DNA পরীক্ষা। বাড়ির আর কোথাও আরও রহস্য জনক কিছু আছে কিনা জানতে তদন্ত করবে পুলিস।


উদ্ধার হারগোড় সত্যিই কী উদয়নের মা-বাবার?  DNA পরীক্ষার পরই তা জানা যাবে। উদ্ধার হওয়া দেশাবশেষের ফরেনসিক পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন ছত্তিসগড়ের IG প্রদীপ গুপ্তা। দেহ পোঁতা নিয়ে বারবার বয়ান বদল করে উদয়ন। প্রথমে সে বলে এই মা-বাবা দুজনকেই খুন করে রায়পুরের বাড়ির বাগানে পুঁতে রাখে সে। পরে বয়ান বদল ,  বলে শুধু মায়ের দেহই বাগানে পুঁতে রেখেছে। খোঁড়াখুঁড়ি শুরুর পর আবার বয়ন বদল। পুলিসের কাছে উদয়ন কবুল করে বাবা-মা দুজনেরই দেহ এখানে পোঁতা আছে। তাই পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিস।