নিজস্ব প্রতিবেদন: ফাইনাল পরীক্ষায় বসার আগে সিলেবাস তৈরি করে ফেললেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। ২০১৯-র নির্বাচনে পিসির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে চান ভাইপো। এর জন্য কয়েকটি আসন হারাতে হলেও এই সিদ্ধান্তেই বদ্ধপরিকর থাকবেন বলে সাফ জানিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে রুখতে পিসি-ভাইপোর ‘সফল জুটি’ বজায় রাখতে চান তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মোদীকে খুন করে মুসলমান ও বামপন্থীদের ওপর দায় চাপাতে পারে আরএসএস: শেহলা রসিদ


গোরক্ষপুর, ফুলপুর, কৈরানা, নুরপুরের মতো উপনির্বাচনের গবেষণাগারে ইতিমধ্যেই সফল সপা-বসপা রসায়ন। খোদ যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর আসনেই বিজেপি-কে ধরাশায়ী হতে হয়েছে জোটের কাছে। রবিবার মৈনপুরীর এক জনসভায় অখিলেশ বলেন, “২০১৯-এ বিজেপিকে পরাজিত করতে আমাদের এই জোট বহাল থাকবে। এর জন্য কিছু আসন ছাড়তে হলে আমি তাতে রাজি আছি।”


আরও পড়ুন- তেজের হৃদয়ের টুকরো সে, কলহ উড়িয়ে দাবি লালুর ছোটো ছেলের


প্রসঙ্গত, গত মাসে কৈরানা লোকসভা উপনির্বাচনে সপা এবং বসপা-র সমর্থনে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রার্থী তাবাসুম হাসান বিজেপি প্রার্থীকে হারান। এই আসনে ২০১৪-র লোকসভায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায় গেরুয়া শিবির। গতবারের তুলনায় এবারে বিরোধী জোট ৩ শতাংশ ভোট বাড়াতে পেরেছে। গতবার পৃথকভাবে সপা ২৯.৪৯ শতাংশ, বসপা ১৪.৩৩ শতাংশ এবং আরএলডি ৩.৮১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এবারের উপনির্বাচনে ত্রিপাক্ষিক জোট হওয়ায় ৫১.২৬ শতাংশ ভোট এসেছে অখিলেশদের ঝুলিতে। ফুলপুরের আসনটিতেও সপা প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয় বিজেপি।


আরও পড়ুন- বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত ৬ পড়ুয়া সহ ৭


গত লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে একটি আসনও পাননি মায়াবতী। গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছিল অখিলেশের সপাও। মাত্র দুটি আসন পেয়েছিলেন অখিলেশ। কিন্তু লোকসভার নির্বাচনে পর অনেকটা সময় পেরিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে দেখা গিয়েছে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে আঞ্চলিক দলগুলি। বিজেপিকে হারাতে এককাট্টা হতে পিছুপা হচ্ছে না একদা পারস্পারিক শত্রু দলগুলি। উল্লেখ্য, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে অবিজেপি জোট গড়তে তত্পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নায়ডুরা। এই আবহে পিসি-ভাইপো জুটির একের পর এক সাফল্য আরও অক্সিজেন যুগিয়েছে ফেডারেল ফ্রন্টের স্বপ্নে।


সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের ৫০ শতাংশ দাবি করতে পারেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। আসন ভাগের দর কষাকষিতে বসপা যদি ৪০টি আসনে লড়ে, তাহলে ৩১ থেকে ৩৪টি আসনে প্রার্থী দেবে সপা। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, কংগ্রেসও চাইছে আঞ্চলিক দলকে পাশে নিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে। কর্ণাটক নির্বাচনে ঘোড়ার চাল দিয়ে জেডিএসের সঙ্গে সরকার তৈরি করেছে কংগ্রেস। সেই সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়েই লোকসভা নির্বাচনে ‘কিস্তিমাত’ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, দলিত ভোট পকেটে রাখতে ইতিমধ্যে মায়াবতীর সঙ্গে রফা করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের বসপাকে ৩০টি আসন ছাড়তেও প্রস্তুত রাহুল গান্ধী। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট হলে, কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন করবে নাকি একাই লড়বে, তা জানতেও উত্সুক রাজনীতির কারবারিরা।