নিজস্ব প্রতিবেদন: ২১ দিনের লকডাউন। আপাতত সময় কাটাতে হবে বাড়িতেই।  সে কথা মাথায় রেখেই অনেক জায়গাতেই লম্বা লাইন পড়েছে মদের দোকানে। ক্রেতাদের যুক্তি, ২১ দিন বলে কথা, 'স্টক'তো  রেডি রাখতেই হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা সতর্কতায় মঙ্গলবার লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন পরিস্থিতিতে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করার হিড়িকে মেতেছেন অনেকেই। কার‌ও কার‌ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় যে মদ‌ও রেখেছেন। আর সেই কারণেই মদের দোকানের সামনে লম্বা ভিড়। 


করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা ভুলে যাননি ক্রেতারা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কেরলের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাটিতে চক দিয়ে লাইন কেটে দূরত্ব বজায় রাখছেন ক্রেতারা। একজন আরেকজনের খুব কাছাকাছি যাতে না আসেন সেই কারণেই এমন উদ্যোগ দোকান মালিকের। 


আরও পড়ুন- লকডাউন কাকে বলে! গোটা দেশকে শিখিয়ে দেওয়ার মতো উদাহরণ তৈরি করেছে এই গ্রাম


চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কেরলের বামশাসিত সরকার সমস্ত বার বন্ধ করার ঘোষণা করে। তবে সরকারি মদের দোকান খোলা থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বেশিরভাগ দোকানপাট যেখানে বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে সরকারি মদের দোকান কেন খোলা থাকবে? উত্তরে বিজয়ন বলেন, "এর আগে যখন সরকার মদের দোকান বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধ রেখেছে, তখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়।" 



সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবশ্য সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, সরকারি মদের দোকান খোলা থাকলে সেখানে প্রতিদিন জনসমাগম হবে। ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। 


বাস্তবে হচ্ছেও তাই। লকডাউন পরিস্থিতিতে মদ না পাওয়ার ভয়ে আগেভাগেই দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কোঝিকোরের ভাটকারা এলাকায় মদের দোকানে বিশাল ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমত লাঠিচার্জ করে পুলিস।