ওয়েব ডেস্ক: গতি দৈত্য। ভারতের একমাত্র মহিলা যিনি শুধু বাজপাখির হৃদয় নিয়ে জন্মেছেন তাই নয়, বাজপাখির গতিকে হার মানাবে এমন গতিতে বাইকটাও চালান। বাইক চালানোটা এমন কোনও কঠিন কাজ নয়। তবে কাজটা যতটা সোজা মনে হয়, ঠিক ততটাও সোজা নয় যখন ৪০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চাকা দৌড়ায় আর রাস্তার বাঁক গুলোতে গতি থাকে ৩৬০ থেকে ৩৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। শুধু যে দুই চাকার ক্ষেত্রে এমনটা হয়, তা নয়, চার চাকাতেও এই ধরণের সাবলীল ড্রাইভিংটা যিনি তালুবন্দি করেছেন তিনি আলিশা আব্দুল্লাহ্‌। ভারতের একমাত্র সুন্দরী যুবতী সুপার বাইক রেসার। এখন বয়স ২৫। কিন্তু গাড়িতে গতি নিয়ে ছেলেখেলা ছোটবেলা থেকেই। বাইকের এক্সিলেটরে হাত পাকিয়েছেন ১৩ বছর। নিজের কেরিয়ার শুরুর পর কাটিয়ে ফেলেছেন এক দশক। ভারতের নম্বর ওয়ান এবং একমাত্র নম্বর ওয়ানের অজানা ৮ তথ্য-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কেরিয়ারের এক দশক
এমন এক প্রতিযোগিতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন যেখানে তিনিই প্রথম, তিনিই দ্বিতীয়, তিনিই তৃতীয়। ভারতে আর কেউ নেই যিনি মহিলা সুপার বাইক রেসার আলিশা আব্দুল্লাহ্‌র মুখোমুখি হয়, তাঁকে গতির চ্যলেঞ্জে টক্কর দেয়। শুরুটা হয়েছিল যখন আলিশার বয়স মাত্র ৯। মাত্র ২ বছরের মাথায় জিতে নেন গো কার্টিং রেস। ১৩ বছর বয়সেই চ্যাম্পিয়ন হন MRF Nrtional Go-Karting Championship-এ। ২০০৪ সালে JK Tyre জাতীয় প্রতিযোগিতায় অর্জন করেন পঞ্চম স্থান।



আলিশার আইকন দানিকা প্যাট্রিক
মোটরস্পোর্টসের রেসার এবং মডেল দানিকা প্যাট্রিক আলিশার রোল মডেল।


আলিশার সাফল্য
শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত আলিশার ঘরে ট্রফির সংখ্যা কম করে ৮০ থেকে ৯০। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলিশা প্রথম ভারতীয় যিনি টয়োটা VIOS কাপে প্রতিযোগী ছিলেন।


সিনেমায় আলিশা
২৫ বছরের আলিশা ফিল্ম জগতেও নিজের জাত চিনিয়েছেন।  Irumbu Kuthirai-ছবিতে মহিলা বাইক গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেন আলিশা। ২০১৪-তে এই সিনেমা রিলিজ করেছিল। এরপর শয়তান-ছবিতেও অভিনয় করেন আলিশা।


শুমির ভক্ত আলিশা
গোটা পৃথিবী যার 'দিওয়ানা', আলিশাও তাঁর গতিতে 'দিওয়ানি'। এমনকি ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুমাখারের দুর্ঘটনার পর থেকে ফর্মুলা ওয়ান দেখা বন্ধ করে দেন শুমির অন্ধ ভক্ত আলিশা।


ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবছেন  আলিশা?
আলিশা চান ভারতে একটি  Women Racing Academy গড়তে।


ফিট অ্যান্ড ক্লিক
আলিশা সবসময় ফিট থাকতে পছন্দ করেন। জিম থেকে শারীরিক নানান ট্রেনিং কখনও মিস করেন না। আর সেই সমস্ত মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করতেও ভোলেন না। সেলফিতেও মন মজে আলিশার। আত্মবিশ্বাসী নারীর আত্মপ্রকাশ সেলফিতেও।


বাবা'ই আলিশার হিরো?
আলিশার কাছে তাঁর বাবা আর এ আব্দুল্লাহ্‌ই হলেন একমাত্র সুপার হিরো।