নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশে রাতে মহানাটক। বিজেপিকে আটকাতে ইস্তফা দিলেন কমলনাথ সরকারের ২০ জন মন্ত্রী। সকলের ইস্তফাপত্রই গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন কমলনাথ। তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন,''মাফিয়াদের সাহায্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। ওদের সফল হতে দেব না।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশের ৬ জন মন্ত্রী-সহ ১৭ জন বিধায়ককে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। সকলেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ। এরপরই সিন্ধিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর মধ্যে সনিয়ার নির্দেশে দিল্লি থেকে বিকেলে ভোপালে ফেরেন কমলনাথ। এরপর দলীয় বৈঠকে বিজেপিকে আটকাতে গণপদত্যাগের কৌশল নেয় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছে ইস্তফাপত্র দেন ২০ জন মন্ত্রী। কংগ্রেস নেতা পিসি শর্মা বলেন,''মন্ত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছিল। নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। সরকার ৫ বছরই চলবে।''                                    



কমলনাথ বিবৃতি দিয়ে জানান,''মাফিয়াদের সহযোগিতায় সরকারে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। ওদের সফল হতে দেব না। মধ্যপ্রদেশের মানুষের ভরসা ও ভালোবাসা আমার শক্তি। সরকারে অচলাবস্থা তৈরি করার চেষ্টাকে সফল হতে দেব না। সাধারণ মানুষ সরকার তৈরি করেছে।''           



মধ্যপ্রদেশ নিয়ে দফায় দফায় শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে শলা করেছেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে বৈঠকও সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভোপালে ডাকা হয়েছে দলের সব বিধায়কদের।


প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের ৬ জন মন্ত্রী-সহ ১৭ বিধায়ক ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর হোটেলে। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ দিল্লি থেকে তিনটি চার্টার বিমানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। প্রথম থেকেই সরু সুতোর উপর ঝুলছে কমল নাথ  সরকারের ভাগ্য। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন। সপা-বসপার বিধায়ক মিলিয়ে ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন শাসক কংগ্রেসের পক্ষে। বিজেপির আসন সংখ্যা ১০৭।   


আরও পড়ুন- রাহুলের সঙ্গে কথা ইয়েচুরির, বাংলা থেকে রাজ্যসভার জোট প্রার্থী বিকাশ