নিজস্ব প্রতিবেদন- পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কেরলের এর্নাকুলামের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই নজন জঙ্গি দিনকয়েকের মধ্যেই কাশ্মীরে রওনা দিত বলে জানিয়েছেন এনআইএ-র কর্তারা। আল কায়দার নেতারা তাঁদের কাশ্মীরে গিয়ে অস্ত্র ডেলিভারি দেওয়ার টাস্ক দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে অস্ত্রসস্ত্র গোছাতে শুরু করেছিল তারা। নজন জঙ্গিকে গ্রেফতারের ঘটনা বড় সাফল্য বলে দাবি করেছে এনআইএ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ধৃতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পাকিস্তানে থাকা আল কায়দা সংগঠনের নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনআইএ জানিয়েছে, আল কায়দায় এই মডিউল দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলার ছক কষেছিল। এমনকী হামলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিল এই নজন জঙ্গি। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, কাগজপত্র,  জেহাদি বক্তৃতা লেখা বই, আগ্নেয়াস্ত্র ও  বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এনআইএ জানিয়েছে, দিল্লিতেও হামলার ছক কষেছিল ধৃতরা। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজনের কদিনের মধ্যেই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে কারও থেকে অস্ত্র কিনে সেগুলি কাশ্মীরে পৌঁছে দিত তারা। কিন্তু তার আগেই এনআইএ-র জালে ধরা পড়ল তারা।


আরও পড়ুন-  আলাদা পতাকা, সংবিধান চাই! কেন্দ্রের মাথা ব্যথা বাড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী নাগা সংগঠন


কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা লোপের পর থেকে নাশকতার ঘটনা কমেছে ৫৪ শতাংশ। এমনই দাবি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গত এক বছরে ১৭৭ জন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। উপত্যকায় আগের থেকে অনেকটাই কমেছে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। এখনো প্রায় রোজই জঙ্গিদের খোঁজে সার্চ অপারেশন চালাচ্ছে সেনা। তবে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি কাশ্মীরে নাশকতা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে জোরকদমে। আর এই আল কায়দা জঙ্গিদের ধরা পড়ার ঘটনা এই তথ্যই আরো একবার তুলে ধরল সবার সামনে।