নিজস্ব প্রতিবেদন: অন্তত ১,০০০ ভারতীয় নাগরিক যাদের মধ্যে ইউক্রেনের (Ukraine) সুমিতে (Sumy) ৭০০ জন এবং খারকিভে (Kharkiv) ৩০০ জন এখনও আতকে রয়েছেন। ভারত সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের সরিয়ে আনার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, "শেষ ব্যক্তিকে সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অপারেশন গঙ্গা চালিয়ে যাব। প্রায় ২,০০০-৩,০০০-এর (আরও ভারতীয়) সেখানে (ইউক্রেনে) থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সংখ্যাটি পরিবর্তন হতে পারে।"


তিনি আরও বলনে, "আমাদের প্রাথমিক ফোকাস হল পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের বের করে আনা। আমরা উভয় পক্ষকে (রাশিয়া এবং ইউক্রেন) উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমরা আমাদের নাগরিকদের বের করতে পারি। একটি স্থানীয় যুদ্ধবিরতি এইক্ষেত্রে সাহায্য করবে।"


সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (Sumy State University) আটকে পড়া ভারতীয় মেডিকেল ছাত্ররা শুক্রবার সাহায্যের জন্য একটি মরিয়া আবেদন জানিয়ে বলেছিল যে তারা ৮০০-৯০০ জন তাদের হোস্টেলে খাবার এবং জল ছাড়াই আটকে রয়েছেন এবং বাইরে যুদ্ধ হচ্ছে, গোলাগুলি চলছে  এবং সর্বোপরি তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে।


তারা একটি ভিডিওতে বলেছেন, "আমরা আশা করছিলাম সরকার সাহায্য করবে, কিন্তু আমরা কোন তথ্য পাইনি। কেউ কেউ বলছেন যে রাশিয়ান সীমান্তে বাস অপেক্ষা করছে, যা এখান থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে। আমরা যদি হোস্টেল থেকে হেঁটে যাই, চার দিকেই স্নাইপার রয়েছে। আমরা বিমান হামলার ভয় পাচ্ছি। প্রতি ২০ মিনিটে বোমা হামলা হচ্ছে।"


তারা বলেন, "আমরা নরেন্দ্র মোদীজিকে অনুরোধ করছি, দয়া করে আমাদেরকে এখান থেকে নিয়ে যান, না হলে আমাদের মেরে ফেলা হবে। আমরা যদি নিজেরাই এখান থেকে চলে যাই, তাহলে আমাদের মেরে ফেলা হবে। আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি, অনুগ্রহ করে আমাদের সাহায্য করুন।" .


আরও পড়ুন: Manipur-এ দ্বিতীয় দফা নির্বাচন শনিবার, ভাগ্য পরীক্ষা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী Okram Ibobi Singh-র


তারা আরও বলেন, "কোনও খাবার নেই, টয়লেটে জল নেই। অনেকের কাছে গত রাত থেকে খাবার করার জল নেই। আমরা খুব চিন্তিত।"


ভারতীয় দূতাবাস গত সপ্তাহে খারকিভ, সুমি এবং কিয়েভে (Kyiv) তীব্র লড়াইয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সুমিতে ট্রেন এবং বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, শহরের বাইরের রাস্তা এবং সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং রাস্তায় প্রচণ্ড লড়াই চলছে।


অরিন্দম বাগচি বলেছেন যে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ভারত প্রথম ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করার পর থেকে প্রায় ২০,০০০ ভারতীয় ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে এসেছেন।


তিনি বলেছেন যে গত ২৪ ঘন্টায় রেস্কিউ মিশনের অংশ হিসাবে ১৫টি বিমান ভারতে অবতরণ করেছে। এর মাধ্যমে ৩,০০০ এরও বেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে আগামী ২৪ ঘন্টায় ১৬টি বিমান নির্ধারিত রয়েছে।


তিনি জানিয়েছেন, 'অপারেশন গঙ্গা'-র মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ১০,৩০০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে ৪৮টি বিমানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)