নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই প্রধানের পদে ফিরেও টিকে থাকতে পারলেন না অলোক ভার্মা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই প্রধানের পদে ফিরলেও মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের পদ থেকে অপসারণ করা হল নিখিল নির্মলকে


উল্লেখ্য, পদ ফেরার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫ অফিসারকে বদলি করার নির্দেশ দেন ভার্মা। পাশাপাশি, ১০ অফিসারের বদলির নির্দেশ রদ করেন তিনি। যেসব অফিসারকের বদলি করার নির্দেশ ভার্মা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, জেডি অজয় ভাটনগর, ডিআইজি এমকে সিনহা, ডিআইডি তরুণ গৌবা, জেডি মুরুগেশন, এডি একে শর্মা। এনিয়ে সরকারের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন।



গত অক্টোবরে অলোক ভার্মাকে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। সেই নির্দেশ খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে অলোক ভার্মাকে সিবিআই প্রধানের পদে ফেরানো হয়। তবে বলা হয়, ভার্মা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটি।


আরও পড়ুন-মমতা 'প্রধানমন্ত্রী' হলে, রাজ্যে রাজপাট সামলাবে কে? স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন ফিরহাদ হাকিম


বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটির বৈঠক বসে নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে। সেখানেই অলোক ভার্মাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, একমাত্র ভার্মাকে অপসারণের বিরোধিতা করেন মল্লিকার্জুন খার্গে।


এদিকে ভার্মাকে অপসারণের পরই সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্তভূষণ সংবাদমাধ্যমে বলেন, অলোক ভার্মাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে কীভাবে একজনকে সরিয়ে দেওয়া যায়?


অলোক ভার্মাকে সরানো নিয়ে মোদীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। দলের পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়েছে, অলোক বর্মাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ফের মনে করিয়ে দিলেন তদন্তকে তিনি সিবিআই বা যৌথ সংসদীয় কমিটির দ্বারা তদন্তে ভয় পান। প্রসঙ্গত কংগ্রেসের ইঙ্গিত ছিল রাফাল চুক্তির দিকে।