নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজনৈতিক মহলে তাঁর পরিচিতি 'মোদী বিরোধী' অর্থনীতিবিদ বলেই। কিন্তু সেই অমর্ত্য সেনের মুখেই এবার নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রভূত প্রশংসা করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত‌্য সেন। তাঁর মতে, করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় অনেক রাষ্ট্রনেতার থেকে এগিয়ে ভেবেছেন মোদী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটা ভারতকে সাহায্য করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সালে মোদী যখন নোটবন্দি ঘোষণা করেন, তখন সমালোচনায় সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। এদিন সেই অমর্ত্য সেন-ই বলেন, করোনা সঙ্কটের গুরুত্ব অনেক আগে বুঝে গিয়েছিলেন মোদী। অনেক রাষ্ট্রনেতার থেকে এগিয়ে ভেবেছেন। তবে মোদীর দূরদৃষ্টির প্রশংসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে আরও বেশি করে ভাবা উচিত ছিল বলেও মত পোষণ করেছেন অমর্ত্য সেন। যদিও পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার জন্য একা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দায়ি করতে রাজি নন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে, ভারতের দারিদ্র ও দুর্দশার এই ছবি নতুন নয়। গরিব মানুষদের দুঃখ, দুর্দশা আগে থেকেই ছিল।


প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথম দফায় দেশজুড়ে ২৪ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মোদী। বন্ধ করে দেওয়া ট্রেন, বাস, বিমান সহ সমস্তরকম আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক পরিবহন। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ৩ মে পর্যন্ত ১৯ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। এখন তৃতীয় দফায় ১৭ মে পর্যন্ত ১৪ দিনের লকডাউন জারি রয়েছে। এই দফায় গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় ঘোষণা করলেও, রেড জোনে সম্পূর্ণ লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সংক্রমণ রুখতে বার বারই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একইসঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক।


করোনা মোকাবিলায় এর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করেছেন WHO সহ অন্য বিশ্ব নেতারা। মোদীকে চিঠি লিখে বাহবা জানিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। যদিও, উদ্বেগের বিষয় তৃতীয় দফায় লকডাউনের মধ্যেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,৯০২ জন। করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১,৭৮৩ জন।


আরও পড়ুন, আক্রান্ত প্রায় ৩৬ হাজার, বুদ্ধ পূর্ণিমায় করোনা যোদ্ধাদের গৌতম বুদ্ধের পাঠ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী