কড়া লকডাউন, সেনাদের সাহায্যে হাসপাতাল তৈরি সহ আরও একাধিক পরামর্শ দিলেন ফসি
``অন্যদেশ থেকে কোভিড স্বাস্থ্যকর্মী লোকবল বাড়িয়ে লড়াই করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিকল্পনামাফিক ব্যবস্থা নিতে হবে``, অ্যান্টনি ফসি
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের করোনা পরিস্থিতি গত ১০ দিনে অনেকটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করলেন আমেরিকার অন্যতম জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসি। এই মুহূর্তে ভারতকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে ঠিক কী কী করা প্রয়োজন?
এই প্রসঙ্গে অ্যান্টনি ফসি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে ‘জরুরি ব্যবস্থা’ দরকার। প্রয়োজনে সেনাকে ব্যবহার করে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। জারি করতে হবে কড়া লকডাউন। তবে তার সময়সীমা হিসেবে তিনি জানিয়েছেন ১ মাস।
সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙার জন্য লকডাউন জারি করার কথা বার বার করে বলেন তিনি। অন্যদিকে, ভারতকে সাহায্য করতে হবে প্রতিবেশি দেশকে। শুধুমাত্র চিকিৎসার সরঞ্জাম ওষুধ-পত্র- অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে নয়, কোরোনাযোদ্ধা দিয়েও সাহায্য করতে হবে। অর্থাৎ সাহায্যের জন্য প্রতিবেশি দেশ থেকে পাঠাতে হবে মানুষকে, এমনটাই বলেছেন ফসি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক আন্তর্জাতিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ই ভারতের কোভিড মোকাবিলা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন। ভারত এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝাপটায় মুখ থুবড়ে পড়েছে, এই প্রসঙ্গে অ্যান্টনি ফসি বলেন, গতবছর আমেরিকার অবস্থা যা হয়েছিল ভারতের অবস্থা তার থেকেও খারাপ। প্রায় ৪ লক্ষের ওপর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দিনে, মারা যাচ্ছে ৩ হাজারের বেশি। তাই এই মূহুর্তে লকডাউন জারি করতেই হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখতে হবে না। ১ মাস কড়া লকডাউন করা হোক ভারতে। পাশাপাশি চালিয়ে যেতে হবে টিকাকরণ।’
ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কেন এমন? প্রশ্ন তুলেছেন অন্যতম জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসি। তিনি বলেন, 'রোজই দেখতে পাচ্ছি সেখানে অক্সিদজেন না পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু চিন তো দ্রুত হাসপাতাল বানিয়ে ফেলেছিল গত বছর। ভারতের উচিত এরকম হাসপাতাল তৈরি করা। আর এই কাজের জন্য সেনার সাহায্য নেওয়া হোক। অন্যদেশ থেকে কোভিড স্বাস্থ্যকর্মী এনে লোকবল বাড়িয়ে লড়াই করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিকল্পনামাফিক ব্যবস্থা নিতে হবে ''।