নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা-দুর্ভোগে গোটা বিশ্ব। দেশের কাছেও এই লড়াই ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। সমস্যায় প্রত্যেকেই। তবে সবেচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন, পেটের ভাত জোগার করতে যে সব শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে যান অর্থাত্ পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁরা ঘরে ফিরতে পারছেন না, থাকা খাওয়ার রসদও শেষ। তাঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করলেন দুই সমাজকর্মী। হর্ষ মান্দের ও অঞ্জলি ভরদ্বাজ নামে ওই দুই সমাজকর্মী সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছেন, কেন্দ্র যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৌলিক ন্যূনতম বেতন দেয়। এই পিটিশনের ভিত্তিতে শনিবার  শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে নোটিস দিয়েছে। 
 আবেদনকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের দাবি, করোনা ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউন জারি করেছেন। কিন্তু তিনি একবারও কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে যাওয়া শ্রমিকদের কথা ভাবেননি। অথচ লকডাউনের জেরে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই কাজ হারিয়েছেন। জীবন চালানোর ন্যূনতম রসদটুকুও ফুরিয়ে গিয়েছে তাঁদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিডিয়ো: ধর্মীয় স্থানে জমায়েত বন্ধ করতে গিয়ে কর্ণাটকে পাথরবৃষ্টির মুখে পুলিসকর্মীরা
পিটিশনে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে তাঁদের ন্যূনতম বেতন দেওয়া হোক। 
উল্লেখ্য, এই শ্রমিকদের রাস্তায় বেরনোর ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এরফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছিল। সেকারণে গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশ দেয় শ্রমিকদের নিয়োগকর্তারা যেন তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেন ও বাড়িমালিকরাও যেন এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কাছ থেকে ভাড়া না নেন। কিন্তু এই নির্দেশ আদৌ কতটা কার্যকর হয়েছে, তা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।