ভিডিয়ো: ধর্মীয় স্থানে জমায়েত বন্ধ করতে গিয়ে কর্ণাটকে পাথরবৃষ্টির মুখে পুলিসকর্মীরা

"চারজন পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। যারা এমন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"  

Updated By: Apr 3, 2020, 09:26 PM IST
ভিডিয়ো: ধর্মীয় স্থানে জমায়েত বন্ধ করতে গিয়ে কর্ণাটকে পাথরবৃষ্টির মুখে পুলিসকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করেই চলছিল জমায়েত ও প্রার্থনা। স্থানীয় প্রশাসন সেই জমায়েতে বাধা দিতে আসতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল এলাকা। পুলিসকর্মীদের ঘিরে ধরল স্থানীয় কিছু মানুষ। তারপর ধস্তাধস্তি থেকে মারধর ও স্টোন পেল্টিং। করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গিয়ে উল্টে আহত হলেন চার পুলিসকর্মী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হুবলির মন্তুরে। গোটা ঘটনাটাই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তুমুল উত্তেজনার সেই ছবি।

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে পুলিসের গাড়ি ঘিরে ভিড় অগুনতি জনতার। সবাই মিলে ঘিরে ধরে চলছে এলোপাথাড়ি মারধর। উত্তেজিত স্থানীয়দের সামনে ছত্রভঙ্গ হয়ে ছুটছেন পুলিসকর্মীরা। এরপর অবশ্য পুলিসকর্মীরাও পাল্টা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতেই ভিড় অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। সংবাদসংস্থা এএনআই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। 

হুবলি-ধরবাদের পুলিস কমিশনার আর দিলীপ জানান, শুক্রবারের প্রার্থনায় বাধা দিতে যাওয়ায় এমন ঘটনা। "চারজন পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। যারা এমন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" পুলিস কমিশনার জানান, স্থানীয় মান্য ব্যক্তিরা পুলিসের সঙ্গে জনতাকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করলেও উত্তেজিত জনতা তাতে কান দেয়নি। এখনও পর্যন্ত ৫ মহিলাসহ ৫০ জনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। ৫ মহিলাকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে করোনা টেস্টের উদ্দেশ্যে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। পাথর ছুড়ে, বাঁশ হাতে তাড়া করা হয় দুই মহিলা চিকিত্সককে। ঘটনায় দুই চিকিত্সক আহত হন। তবে, এর পরেও আবার শুক্রবার ইন্দৌরে সেই পাড়াতেই অভিযানে গিয়েছেন আহত চিকিত্সকরা।

তবে শুধু চিকিত্সক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা নন, করোনা নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শনে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়ছেন আশাকর্মীরাও। করোনা একই দিনে বেঙ্গালুরুর সাদিক এলাকায় করোনা সতর্কতায় সার্ভে করতে গিয়ে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়েন আশাকর্মীরা। স্থানীয় ধর্মীয় স্থান থেকে মাইকে আশাকর্মীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরেই কৃষ্ণাবেণী নামে এক আশাকর্মীকে ঘিরে ধরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিসকর্মীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। শুক্রবার আশাকর্মীদের হেনস্থার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।

আরও পড়ুন, উলঙ্গ হয়ে হাসপাতালে ঘোরেন তবলিঘি সদস্যরা, অশালীন ইঙ্গিত নার্সদের! কড়া পদক্ষেপ যোগী সরকারের

.