Omicron Threat: দেহে ওমিক্রন ভাইরাস, কর্নাটকে আচমকাই `নিখোঁজ` একাধিক দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক
ওমিক্রন আবহে তাদের তল্লাশি চালাতেই দেখা গেল তারা `নিখোঁজ`।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নভেম্বরের ১২ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন ১০ জন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। কিন্তু ওমিক্রন আবহে তাদের তল্লাশি চালাতেই দেখা গেল তারা 'নিখোঁজ'। আপাতত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ওই আগতদের৷ যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে কর্নাটকে। নভেম্বরেই করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের কথা বিশ্বকে জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কর্নাটকে দু’জনের দেহে করোনার নয়া রূপের হদিশ মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৬৬ এবং ৪৬। ওমিক্রন মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণী এই রাজ্যের প্রশাসন। কন্টাক্ট ট্রেসিং করতেই এই ব্যক্তিদের খোঁজ চালানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে যে ঠিকানা দিয়েছিলেন তারা তা ভুয়ো। এমনকী বন্ধ রয়েছে মোবাইল ফোনও।
আরও পড়ুন, নেপথ্যে ড: সুভাষ চন্দ্র, হরিয়ানার কিষেণগড়কে 'মডেল গ্রামে'র স্বীকৃতি কেন্দ্রের
সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে এই ব্যক্তিদের ট্র্যাক এবং ট্রেস করতে পুলিশ সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ওমিক্রন ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে বিশদে জানতে সমস্ত নমুনা জিনোমিক সিকোয়েন্সিং পরীক্ষায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্র জানিয়েছে যে বিমানবন্দরে ওমিক্রন সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থা ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল। এই দশজন ব্যক্তি তার আগেই বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছিলেন। যদিও এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, পুলিসের প্রধান কমিশনার গৌরব গুপ্ত বলেছিলেন যে এই বিষয়ে তাঁর কাছে বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই।
প্রসঙ্গত, সময় যত এগোচ্ছে বিশ্বে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। এখনও পর্যন্ত ৩০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমক প্রজাতি৷ স্পাইক প্রোটিন বদলে ভাইরাসটি আদৌ মারণ হয়ে উঠতে পারে কি না তা অবশ্য এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে দুটি কোভিড টিকা নিয়েছে এমন ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়েছে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠছে সব ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা নিয়ে।