BJP National Executive Meeting: কংগ্রেসকেই মূল প্রতিপক্ষ ধরে তুলোধনা বিজেপির
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে (national executive meeting) পেশ হওয়া রাজনৈতিক প্রস্তাবেও, কংগ্রেসকেই মূল শত্রু হিসেবে দেখিয়েছে বিজেপি। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, কংগ্রেস `টুকরে টুকরে গ্যাং`-এর সমর্থক, ভারতবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপকে কংগ্রেস সমর্থন করে, কংগ্রেসের মদতে কিছু এনজিও এবং বিদেশী শক্তি এতকাল গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ভ্রান্ত ধারনা ছড়াত।
মৌপিয়া নন্দী, হায়দরাবাদ: ২০১৯-এ চেষ্টা করেও হয়নি। ২০২৪-এর লক্ষ্যে তাই আগে ভাগে সতর্ক বিরোধীরা। মতাদর্শকে দূরে রেখে এখন থেকেই দিল্লিতে একজোট হতে শুরু করেছে সব রঙ। কিন্তু বিজেপি (BJP) কী ভাবছে? গেরুয়া শিবিরের মূল শত্রু কে বা কারা? হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে (national executive meeting) তা স্পষ্ট করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপির (BJP) 'চাণক্য'র নিশানায় কংগ্রেস।
তিনি বলেন, "কংগ্রেসের মোদী-ফোবিয়া হয়েছে। দেশের ভাল হয় এমন সমস্ত কিছুর বিরোধিতাই, এখন কংগ্রেসের লক্ষ্য। কংগ্রেস পুরোপুরি হতাশায় ডুবে গিয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের বিরোধিতা, ৩৭০ অবলুপ্তির বিরোধিতা, জিএসটি-র বিরোধিতা, রাম মন্দিরের বিরোধিতা, সিএএ-র বিরোধিতা, 'আজাদি কে অমৃত মহোৎসব'-সহ সব কিছুর বিরোধ করছে কংগ্রেস।"
কংগ্রেসের (Congress) পরিবারতন্ত্রকেও আত্রমণের হাতিয়ার করেছেন শাহ (Amit Shah)। তিনি আরও বলেন, "আজ বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ। কংগ্রেসে গণতন্ত্র স্থাপনের জন্য দলীয় সদস্যরাই লড়াই করছেন। কিন্তু ভয়ের চোটে একটা পরিবার অধ্যক্ষ পদের নির্বাচন করাচ্ছে না। কংগ্রেসি রাজনীতিকে নিজেদের সম্পত্তি বলে মনে করে একটা পরিবার। আমরা রাজনীতিকে সেবার মাধ্যম বলে ভাবি।"
কেবল অমিত শাহ নন, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে (national executive meeting) পেশ হওয়া রাজনৈতিক প্রস্তাবেও, কংগ্রেসকেই মূল শত্রু হিসেবে দেখিয়েছে বিজেপি। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, কংগ্রেস 'টুকরে টুকরে গ্যাং'-এর সমর্থক, ভারতবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপকে কংগ্রেস সমর্থন করে, কংগ্রেসের মদতে কিছু এনজিও এবং বিদেশী শক্তি এতকাল গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ভ্রান্ত ধারনা ছড়াত।
এখন প্রশ্ন কেন কংগ্রেসকে আক্রমণ?
এর পিছনে মূলত দুটো কারণ দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রথমত, বিজেপির পর এই মুহুর্তে কংগ্রেসই সবচেয়ে বড় সর্বভারতীয় দল। উত্তর থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব থেকে পশ্চিম, ভারতের সমস্ত রাজ্যে কংগ্রেসের অল্প হলেও সংগঠন রয়েছে। ফলে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে কংগ্রেসে আক্রমণ করার সেটা অবশ্যই একটা কারণ।
দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসকে প্রাধান্য না দিয়ে বিরোধী দলের ব্যাটন হাতে তুলে নিতে, ইতিমধ্যে দিল্লিতে তৎপর হয়েছে বেশ কয়েকটি বিরোধী। যার মধ্যে অবশ্যই গুরুত্বপূ্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল, কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি। ফলে এই পরিস্থিতিতে, বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেওয়ার মানে, বিরোধীদের মধ্যে বিভ্রান্ত করা এবং বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া। যা ২০২৪-এর লড়াইয়ে মাইলেজ দেবে বিজেপিকে'ই (BJP)।