‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে অবস্থান কী; স্পষ্ট করুক তৃণমূল’, মমতাকে নিশানা শাহ-র
অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধ তুঙ্গে। রাজ্যের ৪০ লাখ মানুষের নাম নেই নাগরিকপঞ্জীতে। এনিয়ে কেন্দ্রকে জোরাল আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা নিশানা করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে বাকযুদ্ধ তুঙ্গে। রাজ্যের ৪০ লাখ মানুষের নাম নেই নাগরিকপঞ্জীতে। এনিয়ে কেন্দ্রকে জোরাল আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা নিশানা করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
মঙ্গলবার রাজধানীতে মমতা বলেন, ভোটে জেতার জন্য সাধারণ মানুষকে নিশানা করা যায় না। এক সময়ে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে এক ছিল। একাত্তরের মার্চ পর্যন্ত যারা এদেশে এসেছেন তারা ভারতের নাগরিক। কিন্তু খ্রিষ্টান, দলিত, মুসলিম হলেই আলাদা করা হচ্ছে। বাংলায় এসব হতে দেব না। দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ওরা।
আরও পড়ুন-সুখবর! এবছরই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ার ইঙ্গিত
এদিন মমতা আরও বলেন, যদি বাঙালিরা বলে বিহারিদের থাকতে দেব না। দক্ষিণ ভারতের মানুষ যদি বলেন উত্তর ভারতের লোকজনদের থাকতে দেব না। উত্তরভারতের লোক যদি বলে দক্ষিণ ভারতের লোকেদের থাকা যাবে না তাহলে দেশের কী অবস্থা হবে? এই দেশে আমরা একসঙ্গে একই পরিবারের মতো বাস করি। দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি, আমাদের দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের লোকজনদের নাম নাগরিকপঞ্জীতে নেই! আর কি বলব! এরকম বহু মানুষের নাম ওই তালিকায় নেই।
নাগরিকপঞ্জী নিয়ে অসমে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ওখানে শুধু বাঙালি নয়, সংখ্যালঘু, বিহারি, হিন্দু সবাই সমস্যায় পড়েছেন। গতকাল যে ৪০ লাখ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল তারা হঠাৎ আজ উদ্বাস্তু হয়ে গেল! কীভাবে হয় এসব!
সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, কিসের গৃহযুদ্ধ! অনুপ্রবেশকারীদের যদি দিনের পর আশ্রয় দেওয়া হয় তাহলে কোনও দেশই চলতে পারে না। সুপ্রিম কার্টের নির্দেশ মতো বিজেপি অসমে নাগরিকপঞ্জী কার্যকর করবে।
আরও পড়ুন-দাদাকে ফিরে পেতেই কি সূচ খেত অপরূপা? জোরাল হচ্ছে তন্ত্রযোগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, নাগরিকপঞ্জী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে নিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন। সীমান্তকে সুরক্ষিত করাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। বিরোধীরা দেখানোর চেষ্টা করছে, বিজেপি দেশকে ভাগ করতে চাইছে। দেশের নিরাপত্তার থেকে ভেটেব্যাঙ্কের রাজনীতি বড় হতে পারে না। আমরা সবসময়েই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি ও বিজু জনতা দল ছাড়া আর কোনও দলই অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে বলছে না। কংগ্রেস, তৃণমূল ও অন্যান্য দলগুলিতে বলতে হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তাদের অবস্থান কী।