বাংলা শিখছেন অমিত শাহ
রীতিমত পেশাদার শিক্ষক রেখে নিয়মিত বাংলা ও তামিল চর্চায় মন দিয়েছেন অমিত শাহ। মোদীর `আচ্ছে দিন`-এর বার্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি বাংলাতেই বাঙালির কাছে পৌঁছে দিতে চান অমিত শাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী রাজনীতির ভাষায় তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সাহস পান না অতি বড় শত্রুও। কিন্তু 'নানা ভাষা'র দেশ ভারতে নির্বাচনী রাজনীতির ভাষায় আরও অনায়াস হতে গেলে যে একাধিক ভাষায় সড়গড় হওয়া নিতান্ত জরুরি তা বুঝেছেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক অমিত শাহ। আর সে জন্যই বাংলা ও তামিল শেখা শুরু করেছেন বিজেপি সভাপতি। ভাসা ভাসা ভাষাজ্ঞানে যে কাজ হবে না সে কথা বুঝেই রীতিমত পেশাদার শিক্ষক রেখে নিয়মিত বাংলা ও তামিল চর্চায় মন দিয়েছেন তিনি।
দেশজুড়ে ১৮টি রাজ্যে বিজেপি বা তাদের সহযোগীরা ক্ষমতায়। সেই সব রাজ্যে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ায় আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে গেলে তৈরি করতে হবে নতুন ঘাঁটি। তাই পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যকে এখন থেকেই পাখির চোখ করছেন বিজেপির প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ।
মাতৃভাষার প্রতি আবেগ স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতীয় রাজনীতিতে বিশেষ ফ্যাক্টর। তাছাড়া হিন্দি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাঙালির কঠোর মনোভাবও সুবিদিত। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ বা তামিলনাড়ুতে বিজেপির তেমন শক্তিশালী না-হওয়ায় এই দুই রাজ্যের মানুষের কাছে বিজেপির সংস্কৃতিও অনেকাংশে অচেনা। মোদীর 'আচ্ছে দিন'-এর বার্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি বাংলাতেই বাঙালির কাছে পৌঁছে দিতে চান অমিত শাহ। পাশাপাশি আহমিয়া এবং মণিপুরি ভাষা শেখাও শুরু করেছেন শাহ।
আরও পড়ুন- মোদীর-শাহর আশীর্বাদ! পদ না পেয়েও আলাদা ঘর মুকুলের
খোদ বিজেপি সভাপতির এহেন পদক্ষেপকে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, জনসংঘ ভেঙে যখন ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি হয় তখন অত্যন্ত সচেতনভাবেই 'হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান'-এর আদর্শ সামনে রেখে দলীয় পদ থেকে শাখা সংগঠনের নামকরণ সর্বক্ষেত্রেই 'খাঁটি হিন্দি'কে স্থান দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে যে সমস্ত ভাষা এবং আবেগকে গুরুত্ব দিতে হবে তা বুঝতে পেরেছেন বিজেপির কাণ্ডারিরা।