ওয়েব ডেস্ক: তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। তাই গুজরাট বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গত বৃহস্পতিবার শেষবারের জন্য গুজরাট বিধানসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কিছুটা আবেগ বিহ্বলও হয়ে পড়েন বিজেপি সভাপতি। ১৯৯৭ থেকে ২০১৭, দীর্ঘ ২০ বছরের নানান স্মৃতি সেদিন বারেবারে উঠে এসেছে তাঁর কথায়। গুজরাট বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন অমিত শাহ। এরই সঙ্গে আগামী গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আসন্ন নির্বাচন হবে নর্মদা ইস্যুতে। পিছিয়ে পড়া এবং সংখ্যালঘু মানুষের উন্নয়ন ইস্যুতেই আগামী নির্বাচনে বিরোধীদের সঙ্গে আমাদের লড়াই হবে। নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, আমি তা জানি।" গুজরাটের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ এও বলেন, "আগামী নির্বাচনে গুজরাট বিধানসভায় কংগ্রেসের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় অর্ধেক হয়ে যাবে।" 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


গুজরাট থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে সংসদের উচ্চ কক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ প্যাটেলও। বিজেপির শত চেষ্টাতেও আটাকানো যায়নি আহমেদ প্যাটেলের জয়। তবে স্মৃতি ইরানি এবং অমিত শাহ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতেই সংদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ভারতীয় রাজনীতিতে যা ঘটেছে প্রথমবার। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বিজেপির এই সাফল্যের জন্য গুজরাট বিধানসভার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সঙ্গে অমিত শাহের রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়াকে বর্ণনা করেছেন এই ভাবে, "এই বিধানসভা অনেককেই তারকা করে তুলেছে... অমিত ভাইও (বিজেপি সভাপতি) সেই তালিকায় নিজেকে নথিভুক্ত করালেন"।