নিজস্ব প্রতিবেদন: অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পরিণতি কী হতে চলেছে, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন না। চেন্নাইয়ে বেঙ্কাইয়া নাইডুর বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়,'আমি আত্মবিশ্বাসী, কাশ্মীরে অবসান হবে সন্ত্রাসবাদের। এবার উন্নয়ন শুরু হবে।'
          
গত সোমবার রাজ্যসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করেন অমিত শাহ। রাজ্যসভার পর লোকাসভাতেও পাশ হয় বিলটি। একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে করা হয়েছে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার তাঁর মধ্যে কোনও দ্বিধা ছিল না বলে রবিবার জানালেন অমিত শাহ। চেন্নাইয়ে বেঙ্কাইয়া নাইডুর বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,'৩৭০ অনুচ্ছেদ অনেক আগেই প্রত্যাকার করা উচিত ছিল বলে মনে করি। কিন্তু অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর কী হবে, তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও সংশয় ছিল না। নিশ্চিতভাবে সন্ত্রাসবাদের অবসান হবে। শুরু হবে উন্নয়ন।'  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে রাজ্যসভায় বিলটি কীভাবে পাশ করানো হবে, তা নিয়ে একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন? অমিতের কথায়,'রাজ্যসভা কীভাবে বিলটি পাশ করাবো, সেটা নিয়ে ভাবনা ছিল। কারণ  আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাও রাজ্যসভায় আগে নিয়ে পেশ করলাম। তারপর লোকসভা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিভাজনের সময় যে দৃশ্য সংসদ দেখেছে, এমন অভিজ্ঞতা আমার ক্ষেত্রে হয়নি। বিরোধীদের কথাও শোনা হয়েছে। সংসদের গরিমা অক্ষুন্ন থেকেছে। বেঙ্কাইয়া জি-র যেভাবে অধিবেশন চালিয়েছেন, তাঁর দক্ষতাকে কুর্নিশ করছি।'



 


জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরইসঙ্গে পাশ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে গঠিত হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। তবে কংগ্রেসের অন্দরেই এনিয়ে ধরেছে ভাঙন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দীপেন্দ্র হুডার মতো তরুণ নেতারা সরকারে সমর্থন দিয়েছেন। কংগ্রেসের বিরোধিতা যে জনমানসে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, সেই রিপোর্টও হাইকম্যান্ডকে তাঁরা জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ বলেছেন, এবারের উন্নয়নের পথে চলতে শুরু করবে জম্মু-কাশ্মীর।


আরও পড়ুন- "মোদী-অমিত শাহ জুটি কৃষ্ণ ও অর্জুনের মতো", প্রশংসা রজনীকান্তের