নিজস্ব প্রতিবেদন: পিডিপি-বিজেপি জোট সরকার ভেঙে গিয়েছে বছরখানেক আগেই। তার পর থেকে রাজ্যপাল শাসন জম্মু-কাশ্মীরে। ওই রাজ্যে কবে হবে বিধানসভা নির্বাচন, তা নিয়েই জল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং এই বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে এমনই খবর মিলেছে।


আরও পড়ুন: খুব শীঘ্রই মুখোমুখি হতে পারেন মোদী-মমতা


কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রের দাবি, অমিত শাহের এই ভাবনাচিন্তায় সায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। সেই কারণেই অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা আসনগুলি পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন।


জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮৯। এর মধ্যে দু’জন মনোনীত সদস্য। বাকি ৮৭ জন নির্বাচিত সদস্য। ৪৬ জন জম্মু অঞ্চল থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। কাশ্মীর অঞ্চলে বিধানসভার আসন ৩৭। আর লাদাখ অঞ্চল থেকে চার জন বিধায়ক নির্বাচিত হন।


আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতিদের তালিকা থেকে সীতারাম কেশরীর নাম বাদ, পরে সংশোধন


এ নিয়ে কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চলটিতে ক্ষোভ রয়েছে। এভাবে বিধানসভার আসন বিন্যাস করে বৈষম্য করা হয়েছে বলে ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের দাবি। আর তা দূর করতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বলে খবর।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাশ্মীর নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন অমিত শাহ। কাশ্মীরের একাধিক আধিকারিক ও সেখানকার রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্রের খবর, ডিলিমিটেশন কমিশনকে এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেই রিপোর্ট পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।


আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে অমিত শাহকে আক্রমণ মেহবুবার, পাল্টা তোপ গম্ভীরের


২০১৪ সালের শেষে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেবার কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ২৮টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল পিডিপি। বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি আসন। দুই দলের জোট সরকার তৈরি করে। মুখ্যমন্ত্রী হন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। সেই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের সরকারের শরিক হয় বিজেপি।


গত বছর সেই জোট ভেঙেছে। এখন রাজ্যপালের শাসন চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। সেই অবস্থা শেষ কবে হবে, সেটাই এখন দেখার।