নিজস্ব প্রতিবেদন: NRC বিতর্কের মধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে এই ইস্যুতে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা জারি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জি মিডিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, NRC একটা জাতীয় ইস্যু। মানবিক হয়ে এই ইস্যুতে আলোচনা করা উচিত। বিজেপি কথা না শুনলে সমস্ত বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে তাদের হারাবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন মমতা বলেন,'এটা দেশের সমস্যা। এটা একটা মানবিক সমস্যা। ভারতীয়দের ভারত থেকে বার করে দেওয়া উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গবাসী বিজেপির কথা শুনবে না। দেশবাসীও বিজেপির কথা আর শুনবে না। সব বিরোধী দল একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।' আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, আগে বিজেপিকে হারানো দরকার। ওসব পরে হবে। 


অমিত শাহের কলকাতা সফর নিয়ে মমতার প্রতিক্রিয়া, উনি ৩৬৫ দিনই বাংলায় যান। এটা তো ভাল। কিন্তু বাংলায় কিছু করতে পারবেন না উনি।' আগামী ১১ অগাস্ট কলকাতার রানি রাসমণি রোডে অমিত শাহের সভা করার কথা। সেই সভার অনুমতি নিয়ে সোমবার থেকে বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপির দাবি, অমিত শাহের সভার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে কলকাতা পুলিস। অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার কলকাতা পুলিসের পক্ষে স্পষ্ট করা হয়, চাইতেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। এই বিতর্কের মধ্যেই বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অমিত শাহ। বলেন, অনুমতি থাকুক বা না-থাকুক সভা আমি করবই। ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করে দেখান। 


অমিতের সভা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ওড়াল পুলিস, হুঙ্কার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির


এদিন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবাণীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা। তাঁর হাতে ছোট্ট একটি উপহারও করে দেন তিনি। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, 'আদবাণীজির শারীরিক অবস্থার খবরাখবর নিলাম। ওর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।' মমতা জানান, রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর দেখা হবে। কথা হবে এইচডি দেবেগৌড়া ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও।   


মমতার দাবি, প্রতিবেশী অসুখী হলে কখনও নিজে সুখে থাকা যায় না। অসম আমাদের প্রতিবেশী। তাদের এলাকায় অস্থিরতার প্রভাব আমাদের রাজ্যেও পড়বে। তাই আমরা তাদের দুর্দিনে সরব হবোই।