নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে কৃষকেরা কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। দিল্লিতে এ জন্য অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর গত রাতে বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডার দিল্লির বাড়িতে একটি মিটিং করলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কৃষক সংগঠনগুলি কেন্দ্রের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরে রবিবার গভীর রাতে এই বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সরকারের পক্ষে বিক্ষোভকারীদের আগেই জানানো হয়েছিল, প্রতিবাদের স্থান বদল করার জন্য। উল্টে বিক্ষোভকারীরা দিল্লি অচল করে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন। সোনেপত, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরা-- এই পাঁচটি জায়গাতেই পৌঁছে গিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ দিল্লিবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, বিকল্প রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে। বিক্ষোভের স্থানবদল করলেই সরকার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সমঝোতায় বসবেন বলেও জানানো হয়েছে। ডিসেম্বরের ৩ তারিখে এই মিটিং হওয়ার কথা আছে। তবে এর আগে দু'পক্ষের মধ্যে যে কথাবার্তা হয়েছে, তাতে কৃষকপক্ষ অখুশি। সরকার যেন আগে থেকেই কোনও শর্ত আরোপ না করে, এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন বিক্ষোভকারীরা।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী কৃষি আইনের পক্ষে কথা বলেছেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই দমছে না বিক্ষোভ।


এ বিষয়ে ডেরেক ও'ব্রায়েন আজ, সোমবার মন্তব্য করেছেন। তিনি যা বলেছেন তার মর্মার্থ: মোদীজি ও অমিত শাহ কথা দিয়েছিলেন ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেবেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে অন্তত ২০২৮-এর মধ্য়েও সেটা হবে না। এ দিকে বাস্তব হল, গত ন'বছরের মধ্যে দিদির বাংলায় কৃষকদের রোজগার আগের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে!


রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কৃষক-বিক্ষোভকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজা নতুন মাত্রা পেতে পারে।


আরও পড়ুন:  চিনের আর রক্ষে নেই! প্যাংগন লেকের সামনে Marcos Commandos মোতায়েন করল ভারত