ফের ভূমিকম্প ভারতে, এবার কাঁপল পঞ্জাব
পঞ্জাবের অমৃতসর জুড়ে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। কম্পন অনুভূত হয় প্রায় রাত ৩.৪২ মিনিট নাগাদ। ভূমিকম্পের কারণে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর। রাত আটটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, রবিবার এবং সোমবারের মধ্যবর্তী রাতে পঞ্জাবের অমৃতসর জুড়ে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। কম্পন অনুভূত হয় প্রায় রাত ৩.৪২ মিনিট নাগাদ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) বলেছে, ‘ভূমিকম্পের মাত্রা: ৪.১, ১৪-১১-২০২২, ০৩:৪২:২৭ আইএসটি, অক্ষাংশ: ৩১.৯৫ এবং দ্রাঘিমাংশ: ৭৩.৩৮, গভীরতা: ১২০ কিমি, অবস্থান: অমৃতসরের থেকে ১৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম, পঞ্জাব’।
ভূমিকম্পের কারণে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর। রাত আটটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে নেপালে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ‘ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে’।
আরও পড়ুন: ভারতের ৯৯ শতাংশ মুসলিম হিন্দুস্তানি, দাবি আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের
এর আগে, শনিবার বিকেল ৪.১৫ মিনিটে উত্তরাখণ্ডে ৩.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এর কেন্দ্রস্থল ছিল পাউরি গাড়ওয়াল অঞ্চল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে, উত্তরাখণ্ড-নেপাল সীমান্ত বরাবর হিমালয় অঞ্চলে ৮ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন তীব্রতার অন্তত আটটি ভূমিকম্প হয়েছে। থোরাগড়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বিএস মাহার জানান, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের সিলাং শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে, তবে এর কম্পন ভারত, চিন এবং নেপালে অনুভূত হয়েছে।
কিছু দিন আগে ভারতের দিল্লি, ইউপি, বিহার, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। ডোটিতে একটি বাড়ি ধসে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।