নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্ধেরির হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৮। এর মধ্যে রয়েছে ৬ মাসের একটি শিশু। সোমবারই মৃত্যু হয় ৬ জনের। আজ সকালে আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে ১৪০ জন রোগীকে। তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় কুপার, হোলি স্পিরিট হাসপাতাল, পি ঠাকরে ট্রমা হাসপাতাল, হীরানন্দিনী, সিদ্ধার্থ এবং সেভেন হিলস হাসপাতালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মোদীর জন্যই শিখ-বিরোধী হিংসায় সাজা পেয়েছে কংগ্রেস নেতা! ধন্যবাদ শাহের


এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে, বিদ্যুত্ সংযোগের কারণে আগুন লাগার অনুমান করছেন ঘটনাস্থলের পুলিস কর্তারা। মুম্বইয়ের মেয়র ভি মহাদেশ্বর জানিয়েছেন, তদারকির গাফিলতির দায় মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভালপমেন্ট কর্পোরেশনকে (এমআইডিসি) নিতে হবে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। রাজ্যের শিল্প দফতরের সহ-অধিকর্তা এমডি ওগলে  জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহ আগে ওই হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার পরীক্ষা হয়। কিন্তু বেশ কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছে বলে দাবি করে ওগলে। এরপরও উপযুক্ত কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।


আরও পড়ুন- কর্মসংস্থানের অভাব ও বেকারত্ব ইস্যুতে সংসদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস


সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের কথায়, ইএসআইসি কামগড় হাসপাতালের নীচের তলায় ঠাসা ছিল অগ্নিদাহ্য পদার্থে। সেখান থেকেই আগুন ধরে গোটা রুমে ধোঁয়ায় ভরে যায়। এই তলায় কোনও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেল ৪ নাগাদ হাসপাতালে আগুন লাগার খবর আসে দমকল দফতরে। তত্ক্ষণাত দমকল এবং পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের অবিরাম প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে আগুন। উদ্ধারকাজ চলার সময় ক্রেন থেকে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সরকারি হাসাপাতালে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায়, ফড়ণবীস সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধীরা।