বখরি ইদে প্রকাশ্য কুরবানি নয়, কড়া পদক্ষেপ যোগী আদিত্যনাথের
সেলফি জমানায় কুরবানির ছবি একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। ইদানিংকালে ভারত তো বটেই, বিশ্বের অনেক মুসলিম প্রধান দেশেই কুরবানির ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার প্রবণতা বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কুরবানি ইদে প্রকাশ্যে প্রাণী হত্যা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। ইদ-উল-আজাহায় যেন কোনও রকম পশুহত্যার ছবি ইউপি-তে না দেখা যায়, সেজন্য রাজ্য পুলিসকে নজরদারি রাখার নির্দেশও দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী।
বখরি ইদের রীতি অনুযায়ী সাধারণত নবির উদ্দেশে পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। তবে, প্রকাশ্যে পশুহত্যার বিভত্সতা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এই কথা মাথায় রেখেই পশু হত্যার আগে এবং পরে কোনও নিজস্বী তোলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
আরও পড়ুন- ছাত্রীকে ২ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষককে নগ্ন করে নিয়ে যাওয়া হল থানায়
ইতিমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউপি-র মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস এবং প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রকাশ্যে পশু হত্যা এবং নর্দমা দিয়ে সেই রক্ত প্রবাহ যাতে না হয় তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করার। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে আইনত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানায় যোগীর সরকার।
প্রসঙ্গত, সেলফি জমানায় কুরবানির ছবি একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। ইদানিংকালে ভারত তো বটেই, বিশ্বের অনেক মুসলিম প্রধান দেশেই কুরবানির ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার প্রবণতা বেড়েছে। অত্যুতসাহী অনেকেই কুরবানির আগে ও পরে হালাল হওয়া পশুর সঙ্গে সেলফি তুলে তা নিজেদের প্রোফাইলে পোস্ট করেন। সেই ছবিগুলোর বিভত্সতা এতই মারাত্মক হয়, যে তা মানুষের মনে আঘাত হানে।
আরও পড়ুন- বখরি ইদে কাশ্মীরে উড়ল পাকিস্তান, আইসিসের পতাকা, গুলি করে মারা হল পুলিসকর্মীকে
রাবিয়া নায়েক নামে লখনউয়ের এক মুসলিম মহিলা বলেন, “অন্যান্য ধর্মকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানানোর কথা শিখিয়েছে আমাদের ধর্ম। কারওর ভাবাবেগে আঘাত লাগুক এমন কাজ করা উচিত নয়। সব সম্প্রদায়ের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে এই দিনটিকে উদযাপিত করতে হবে।”
আরও পড়ুন- আরব আমিরশাহির সাহায্য নেবে না কেন্দ্র, যুক্তি কী?
উল্লেখ্য, এ দিন রাজ্যে বিদ্যুত্ এবং জল সরবরাহ পরিষেবাতেও যাতে কোনও ব্যাঘাত না হয়, সে দিকেও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টও এক রায়ে জানিয়েছে বখরি ইদে প্রকাশ্যে পশুহত্যা করা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গরুর সঙ্গে ইদ - উল - আজহার পরবের কোনও সম্পর্ক নেই। ইসলামেও গোহত্যা আবশ্যিক নয়। প্রকাশ্যে গরু, মহিষ-সহ যে কোনও প্রাণীহত্যা যে নিষিদ্ধ তাও সরকারি নির্দেশনামায় উল্লেখ করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, প্রকাশ্যে প্রাণীহত্যা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ।