নিজস্ব প্রতিবেদন - কেউ বলছেন, মানুষকে বিশ্বাস করেই মরতে হল হাতিটিকে। আবার কেউ বলছেন, কেরলে তো শিক্ষিতের হার বেশি। কিন্তু আদতে কি শিক্ষিত সেখানকার মানুষ? একটি হাতির মৃত্যু গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সারা দেশের বহু জায়গায় অনেক হাতিই বেঘোরে মারা যায়। কখনও চোরাশিকারির হতে। কখনও আবার ট্রেনে কাটা পড়ে। কখনও কখনও হাতির মৃত্যু নিয়ে লেখালেখি, বিক্ষোভ হয়। কিন্তু দিন গড়ালে সেসব হাওয়ায় মিলিয়ে যায় এবারও কি তেমনই হবে? কিছুদিন পর এই প্রতিবাদের আঁচ ঠান্ডা হলে অপরাধীরা হাত গলে পালাবে না তো? এত প্রতিবাদ, এত খারাপ লাগা আবার বুদবুদ হয়ে উবে যাবে না তো? সেসব প্রশ্নের উত্তর সঠিক সময়ের আগে পাওয়া যাবে না। তবে আপাতত কেরলের হাতি খুন নিয়ে সোশাল মিডিয়া সরগরম। এরই মধ্যে সেখানকার বন দফতরের কর্মীরা আবার সন্দেহ করছেন, এপ্রিল মাস নাগাদ আরও একটি হাতিকে একইভাবে মেরেছিল কিছু স্থানীয় মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বন দফতরের কর্মীদের সন্দেহ, কল্লাম জেলায় আরও একটি হাতিকে এভাবেই ফলের মধ্যে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে খাইয়ে মারা হয়েছে। সেই হাতিটির চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল। পথানাপুরাম জঙ্গলের কাছে সেই আহত হাতিটিকে দেখতে পেয়েছিলেন বন কর্মীরা। তাকে ধরে ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে যায়। এর পরের দিন হাতিটি মারা যায়। ওই হাতিটির ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি বন দফতরের কর্মীরা। তবে ওই হাতিটির মুখেও গভীর ক্ষত ছিল। আর সেটা বিস্ফোরকের জন্য বলেই মনে করছেন বনকর্মীরা। বন কর্মীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরক দিয়ে হাতি তাড়ানোর রেওয়াজ কেরলে অনেকদিনের। কিন্তু সম্প্রতি এভাবে ফলের মধ্যে বাজি ঢুকিয়ে হাতিদের মারা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন- প্রবল যন্ত্রণায় এদিক ওদিক ছোটাছুটি করেছিল সেই গর্ভবতী হাতি, তবু কারও ক্ষতি করেনি


কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দোষীদের কঠিন শাস্তি হবে। ইতিমধ্যে পুলিস ও বন দফতর একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে হাতি শিকারের মামলা করা হবে। কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।