ওয়েব ডেস্ক: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করাতেই কি খুন হতে হল অন্তরাকে? প্রাথমিক তদন্তের পর জোরালো হচ্ছে তেমনই সম্ভাবনা। পরিবারের অভিযোগের তির, অন্তরার প্রাক্তন সহপাঠী সন্তোষ কুমারের দিকে। সন্তোষকে তলব করেছে পুলিস। উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না সুপারি কিলার দিয়ে খুনের সম্ভাবনাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়াশোনা শেষ করে পুনেয় চাকরি। রকেট গতিতে উঠছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অন্তরা দাসের কেরিয়ার গ্রাফ। শুক্রবার সবশেষ। কিন্তু, কেন খুন হতে হল অন্তরাকে? প্রেমের প্রস্তাব ফেরানোর মাসুল কি গুনতে হল অন্তরাকে? প্রাথমিক তদন্তের পর মোটের ওপর নিশ্চিত পুনে পুলিস। তাঁদের সন্দেহ অন্তরার একসময়ে সহপাঠী সন্তোষ কুমার যাদবের দিকে।


আরও পড়ুন বড়দিনে বড় মনের পরিচয় শহরে, মোট পাঁচটি অঙ্গপ্রতিস্থাপন!


বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনার সময় অন্তরার সঙ্গে পরিচয় হয় সন্তোষ কুমারের। অন্তরার পরিবারের দাবি, অন্তরাকে প্রপোজ করেন সন্তোষ। কিন্তু পাত্তা দেননি অন্তরা। সেই আক্রোশেই অন্তরার ওপর হামলা। পরিবারের দাবির সঙ্গে কিছুটা একমত পুণে পুলিসও। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস নিশ্চিত, প্রতিহিংসার জেরেই সম্ভবত খুন হতে হয়েছে অন্তরাকে। কারণ, আততায়ী আগে থেকে অন্তরার অফিস থেকে বেরোনোর সময় জানত। অফিস থেকে বেরোনোর ১০০ মিটারের মধ্যে খুন করা হয় তাকে। হামলার জন্য বাছা হয় নির্জন ফুটপাত, যেখানে CCTV ক্যামেরা ছিল না।


ইতিমধ্যেই হদিশ মিলেছে এক প্রত্যক্ষদর্শীরও। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সেদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নির্জন ফুটপাত দিয়ে একাই হাঁটছিলেন অন্তরা। সেসময়ই এক যুবক তাঁর ওপর পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন বড়দিনের বিশেষ রেসিপি- ‘ক্রিসমাস রোস্ট চিকেন’


ইতিমধ্যেই সন্তোষকুমারের হদিশ মিলেছে। তাকে তলব করেছে পুনে পুলিস। কিন্তু, খুনের সঙ্গে সন্তোষের প্রত্যক্ষ যোগ মেলেনি। তাই সুপারি কিলার দিয়ে খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। ইতিমধ্যেই পুণে পৌছেছে অন্তরার বাবা ও যমজ বোন। দুজনকেই জেরা করছে পুলিস। সূত্রের খোঁজে অন্তরার মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী আঁকানো হচ্ছে আততায়ীর স্কেচ।