Money Laundering Act: আর্থিক তছরুপ আইন নিয়ে সুপ্রিম রায় বিপজ্জনক, এককাট্টা তৃণমূল-সহ ১৭ বিরোধী দল
গত ৮ বছরে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ইডির অভিযান পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় ২৬ গুন বাড়িয়েছে। কিন্তু মামলা নিস্পত্তির সংখ্যা খুবই কম। সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছে আর্থিক তছরুপের ৩০১০টি মামলায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। তার মধ্যে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করা গিয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কিংবা অন্যান্য ইস্যুতে বিরোধী ঐক্য তলানিতে। প্রত্যেকের বাধ্যবাধকতার কারণে কোনও ভাবেই শক্তপোক্ত হচ্ছে না বিরোধী জোট। দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে ঐক্যের একটা সম্ভাবনা থাকলেও কৃষকরা সরাসরি আন্দোলনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চায়নি। তবে এবার মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা আর্থিক লেনদেনে দুর্নীতি বা অস্বচ্ছতা আইন নিয়ে এবার ঐক্যবদ্ধ ১৭ বিরোধী দল।
উল্লেখ্য, জঙ্গিদের টাকার জোগান সহ অন্যান্য মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে আইন আরও শক্তিশালী করতে ২০১৯ সালে মানি লন্ডারিং অ্যাক্টকে সংশোধন করে আরও শক্তিশালী করা হয়। ওই সংশোধনের বিরুদ্ধে মামলা হলে কেন্দ্রীয় পাশেই দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে ইডি-র মতো সংস্থা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এতে অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি-সহ গ্রেফতারও করতে পারবে ইডির মতো সংস্থা। এনিয়েই এবার সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস সহ ১৭ বিরোধী দল। সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়কে বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করল বিরোধী ব্রিগেডের তরফে।
বিরোধীদের তরফে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আশাকরি বিপজ্জনক ওই রায় খুব বেশি দিন টিকবে না। সংবিধানই শেষ কথা বলবে। ওই বিবৃতিতে সাক্ষর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি, সিপিএম, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি সহ একাধিক দল। ফলে চাপে পড়ে যাওয়াই হোক বা অন্যকিছু, একটি ইস্যুতে অন্তত এককাট্টা বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, ওই সংশোধিত আইনটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ২৫০টি পিটিশন জমা পড়ে। আইনটির বলে ইডির হাতে একাধিক কড়া ক্ষমতা চলে আসে। গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়ে দেয় আইনটি সংশোধন করে যে আকার দেওয়া হয়েছে তাতে সায় রয়েছে আদালতের। ওই রায়ের পরই এবার আইনটি নিয়ে সরব বিরোধীরা। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় আর্থিক তছরুপে জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডির মতো সংস্থা। কয়েকটি বিরোধী দল ইতিমধ্যেই বলা শুরু করে দিয়েছে, কেন্দ্র ওই আইনটি তৈরি করেছে রাজনৈতিক প্রতিশোধের জন্য। রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এনিয়ে ফের তারা আদালতে আবেদন করবে।
গত ৮ বছরে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ইডির অভিযান পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় ২৬ গুন বাড়িয়েছে। কিন্তু মামলা নিস্পত্তির সংখ্যা খুবই কম। সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছে আর্থিক তছরুপের ৩০১০টি মামলায় অভিযান চালিয়েছে ইডি। তার মধ্যে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করা গিয়েছে। বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টকে আমরা সম্মান করি। তবে আরও বড় বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন-প্রদীপ্তার আগে অনুপ, কেন পর পর ডাক্তারি পড়ুয়া আত্মঘাতী? চাঞ্চল্যকর বয়ান সহপাঠীর