নিজস্ব প্রতিবেদন: চুরাশির শিখ-বিরোধী হিংসায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ক্ষমতায় এসে ২০১৫ সালে ওই ঘটনায় সিট গঠন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। অনেক মামলাই আটকে ছিল। নরেন্দ্র মোদী সিট গঠন করে তাতে গতি এনছেন বলেই সাজা পাচ্ছেন দোষীরা। আর সেকারণেই টুইটে মোদীকে শুভেচ্ছা ধন্যবাদ জানালেন শাহ।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৮৪-র নভেম্বর। ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর দিল্লিতে শিখ-বিরোধী হিংসা। নিহত প্রায় তিন হাজার। ৩৪ বছর পর রায় দিল হাইকোর্ট।   কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। শিখ-বিরোধী হিংসায় এই প্রথম কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা দোষী সাব্যস্ত হলেন। ১৯৮৪ সালের ১লা নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের রাজনগরে একই পরিবারের ৫ জনকে খুন করা হয়। শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র, হিংসায় প্ররোচনা-সহ একাধিক অভিযোগে দিল্লি হাইকোর্ট এদিন সজ্জন কুমারকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেয়।


আরও পড়ুন- নাকে ‘ফিডিং টিউব’ নিয়ে সেতু পরিদর্শনে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, কাঠগড়ায় বিজেপি


৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সজ্জনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তার আগে তিনি দিল্লির বাইরে যেতে পারবেন না। ২০১৩ সালে নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস হন সজ্জন কুমার। নিহতদের পরিবার এবং সিবিআই দিল্লি হাইকোর্টে যায়। বিচারপতি এস মুরলীধর এবং বিচারপতি বিনোদ গোয়েল নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে বলেন, বাধা এলেও সত্যের জয় হয়, এই বার্তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌছনো জরুরি। সেই হিংসার অভিঘাত এখনও অনুভব করা যায়। দুষ্কৃতীদের পিছনে রাজনৈতিক মদত ছিল। পুলিস সে দিন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।


আরও পড়ুন- রাহুল এখন 'পাপ্পু' থেকে 'পাপ্পা' হয়েছেন, দাবি মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যর


আদালত যেদিন সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন দিল সেদিনই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কমল নাথ। শিখ-বিরোধী হিংসায় তাঁরও নাম জড়ায়। যদিও পরে নানাবতী কমিশন তাঁকে রেহাই দেয়। কমল নাথের গদিতে বসার প্রতিবাদে, তাঁর শাস্তির দাবিতে এদিন দিল্লিতে শিখরা বিক্ষোভ দেখান।