জ্যোতির্ময় কর্মকার: গরুপাচার মামলায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। বাবার মত সুকন্যারও এখন ঠাঁই হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেলে। মেয়ে সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এই প্রথমবার প্রতিক্রিয়া দিলেন কেষ্ট। এদিন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বেরনোর সময় অনুব্রত মণ্ডল তীব্র তোপ দাগেন। কটাক্ষের সুরে বলেন, 'মেয়েকে অ্যারেস্ট করা অন্যায় হয়েছে। এটা কোনও বাহাদুরির কাজ হয়নি।' প্রসঙ্গত, আগামী ৪ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। আজ তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ ৪ মে পর্যন্ত বাড়ান বিচারক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল সুকন্য়া মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, একাধিকবার সুকন্যা মণ্ডলের বয়ানে অসংগতি পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর সম্পত্তির হিসেবই তিনি ঠিকঠাক দিতে পারছিলেন না। একসময় মনে করা হচ্ছিল সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট হয়তো ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু বার বার জিজ্ঞসাবাদে উঠে আসে যে তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে সবটাই জানতেন সুকন্যা। অনুব্রতর গ্রেফতারের আগেই ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীষ কোঠারিকে। তাঁদের জেরা করে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে ইডির। এরপর বহু আইনি বাধা পেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তারপর অনেক আইনি লড়াই টপকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে অনুব্রতর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। সেখানেই আছেন সারগল হোসেন ও মণীষ কোঠারি। 


সুকন্যা মণ্ডলের আয়কর রিটার্নে মিলেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা কেষ্ট-কন্যার সম্পত্তি বেড়েছে রকেট গতিতে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৮ বছরে সুকন্যার আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ। ২০১৯-২০-তে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুকন্যার আয়কর রিটার্ন থেকেই এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষিকার এই বিপুল আয়বৃদ্ধি কোন জাদুতে? এখন সুকন্যাকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখনই তিনি জানান যে সবকিছু জানেন বাবা ও মণীষ কাকু। কিন্তু সম্প্রতি বারবার ইডির সমন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা। এরপরই টানা জেরার পর তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সুকন্যা মণ্ডলকে।


রবিবার শুনানির সময় বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলার আবেদন করেন সুকন্যা। পাশাপাশি জেলে কিছু ধর্মীয় বই নিয়ে যাওয়ারও আবেদন করেন। তবে গোরুপাচার মামলায় অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেনি ইডি। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠায় দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। বাবার মতোই সুকন্যা মণ্ডলেরও ঠাঁই হয় তিহাড় জেল। আগামী ১২ মে পর্যন্ত দিল্লির তিহাড় জেলেই থাকবেন সুকন্যা।  


আরও পড়ুন, Dev: আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে কাটমানি! সাংসদ দেবের নামে পোস্টার ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)