নিজস্ব প্রতিবেদন : ছাত্রাবস্থায় রাহুল গান্ধীর একটি জনসভায় গিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই কংগ্রেসের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় গোরক্ষপুরে বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের। শনিবার রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদে উন্নীত হওয়ার পর থেকে যেন নিজের খুশি ধরে রাখতে পারছেন না এই তরুণ কংগ্রেস নেতা। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে 'চাওয়ালা মোদী'-র জনপ্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এলাকায় 'রাহুল দুধ' বিতরণ করে সাড়া ফেলেছিলেন বছর ৩০-এর এই নেতা। এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধীর নির্দেশ মেনে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে গত কয়েক বছরে বেশকিছু নবীণ সদস্যকে দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে পেরেছেন আনোয়ান। বর্তমানে তিনি জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৫ সালে গোরক্ষপুরে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধীকে বক্তব্য রাখতে শোনেন আনোয়ার হোসেন। সেই বক্তব্যকেই নিজের জীবনের পাথেয় করে প্রথমে ছাত্র পরিষদ ও পরে যুব কংগ্রেসে যোগ দেওয়া। এরপর ব্যক্তিগতভাবে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন আনোয়ার। তাঁর কথায়, রাহুল তাঁকে নির্দেশ দেন দলে নবীণ সদস্যদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আর সেই নির্দেশ মেনেই গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে নবীণ সদস্যদের যোগদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখিয়েছেন আনোয়ার।


আরও পড়ুন- স্বাধীনতার ৭০ বছর পর মোদীর জমানায় 'আলো'র মুখ দেখল জোকাপথ


২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে চমক দিতে হঠাত্ই আনোয়ার দুধ বিতরণ করা শুরু করেন। নাম দেন 'রাহুল দুধ'। জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, ভোট বাক্সে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি সেই স্ট্র্যাটেজি। এরপর ২০১৫ সালে রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতি করার দাবিতে হাইকমান্ডকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেও সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সময় পুরনো ৫০০ ও হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনও গোরক্ষপুরে একাধিক ব্যাঙ্কে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মধ্যে 'রাহুল হার্বাল টি' বা চা বিতরণ করে সাড়া ফেলেছিলেন আনোয়ার।


এবার তাঁর সেই 'আইকন' নেতা কংগ্রেস সভাপতি হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা আনোয়ার। চাইছেন নতুন কিছু করে এই আনন্দ সেলিব্রেট করতে।