নিজস্ব প্রতিবেদন: আত্মরক্ষার জন্য নয়, মেরে ফেলার জন্যই অ্যাপেলের সেলস ম্যনেজার বিবেক তিওয়ারিক লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল পুলিস। এমনটাই বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ময়না তদন্তে দেখা যাচ্ছে একটি গুলি বিবেকের গালের পাশ দিয়ে ঢুকে তার খুলিতে আটকে গিয়েছে। সেই গুলি বের করা হয়েছে।  তদন্তকারীদের দাবি পুলিস আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়নি। বরং পয়েট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকেই গুলি চালায় পুলিস। প্রসঙ্গত, বিবেক তিওয়ারির সঙ্গে সেদিন গাড়ি ছিলেন তাঁর সহকর্মী সানা খান। তিনিও খুব কাছ থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছিলেন।


আরও পড়ুন-ভাড়াটিয়ার পরকীয়াতে আপত্তি জানিয়েছিল স্বামী, বিয়ের ২ মাসের মাথায় চুরমার সংসারের স্বপ্ন


উল্লেখ্য, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ লখনউয়ের গোমতী নগরে পুলিসের গুলিতে খুন হন অ্যাপেলর সেলস ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারি। এদিন iPhone XS and XS Max এর লঞ্চের পর বাড়ি ফিরছিলেন বিবেক। পথে গোমতী নগরের কাছে তাকে থামতে বলে পুলিস। তিনি গাড়ি না থামালে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরি। এমনটাই দাবি করেছেন বিবেকের সহকর্মী সানা খান। গুলি লাগার পর বিবেকের গাড়ি একটি পিলারে ধাক্কা মারে। তার পরেই তার মৃত্যু হয়।


অভিযুক্ত কনস্টেবল প্রশান্ত দাবি করেন আত্মরক্ষার জন্যই তিনি গুলি চালিয়েছিলেন। তা না করলে ওই গাড়ি তাঁকে পিষে দিত। এখন ময়না তদন্তের রিপোর্টে তা এখন খারিজ হয় গেল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথ বিবেকের পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হবে।


আরও পড়ুন-গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনককে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির


এদিকে বিবেকের স্ত্রী কল্পনা এখন রাজ্য সরকারের ওপরেই ভরসা রাখছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, আগেই বলেছি রাজ্য সরকারের ওপরে আমার আস্থা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর তা আরও মজবুত হয়েছে। ওই ঘটনার পর এখন উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা এখন নেই। এখন স্বামীার দায়িত্ব পালন করতে হবে।