ওয়েব ডেস্ক: সারা দেশে কোথাও কোনও নিরাপত্তা নেই মেয়েদের। পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েরা প্রতি মুহূর্তে তাঁদের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। প্রতিবাদ, শাস্তি, আইন, নিয়ম কোনও কিছুই নিরাপত্তা দিতে পারছে না তাঁদের। আসলে দেশ শুধু স্বাধীন হয়েছে ইংরেজদের হাত থেকে। মেয়েরা আজও পরাধীনই থেকে গিয়েছেন। আর তাই পুরুষেরা সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করছে। তবে আজ আর মেয়েরা লজ্জার ভয় প্রতিবাদ করায় থেমে থাকেন না। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ধর্ষকের চরম শাস্তি পর্যন্ত দিয়ে তবে ক্ষান্ত হয়েছেন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশের ওই ধর্ষিতা মহিলার স্বামী বাড়িতে থাকেন না। কাজের সূত্রে তাঁকে বাইরে থাকতে হয়। আর দাদা বাড়িতে না থাকার সেই সুযোগ নিয়ে বৌদিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত দেওর। বাড়ির লোকেদের এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁর কোনও কথায় কান দেয়নি পরিবারের বাকি লোকজন। বার বার তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। এদিকে পরিস্থিতিও ক্রমশ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সহ্য করতে না পেরে ধর্ষককে শাস্তি দেওয়ার নিজেই উপায় বের করলেন।


একদিন লোভ দেখিয়ে দেওরকে নিজের ঘরে ডেকে আনেন ওই মহিলা। ডেকে এনে ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তি দিলেন। অস্ত্র দিয়ে দেওরের যৌনাঙ্গ কেটে দেন। শাস্তি দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে নিজের দোষও স্বীকার করেন তিনি। পুলিশ তত্‌ক্ষণাত্‌ ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন। এসে দেখেন ততক্ষণে বাড়ির পাশের গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ধর্ষক।


এরপর ধর্ষকের বাড়ির লোক ওই মহিলার নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে মহিলাকে।