নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৬ সালে জিতেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। ২০১৭ সালে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে (TMC)। এবার বিজেপিতে নাম লেখালেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েই তিনি বললেন,'পেশা ছেড়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমার হাত-পা বাঁধা ছিল। যোগ্য লোকেদের কাজ দেওয়া হয়নি। বাংলায় কাজ নেই। যুবকদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে।'    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। তিনি বলেন,'অনেক স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের মতো যুবকরা রাজনীতিতে আসেন। রাজ্যের মানুষের জন্যে স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ ফেসবুকে এক যুবক লিখছেন কিডনি বেচতে চাই। এটা লজ্জার ব্যাপার। পশ্চিমবঙ্গের যুবকদের চাকরি নেই। লকডাউনে দেখেছি, পরিযায়ী শ্রমিকদের বয়স ৩৫-র নীচে। বাংলায় শুধু আশ্বাস আছে। কাজ নেই। রাজ্যে কোনও শিল্প নেই। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। অনেক আশা করে সরকারকে এনেছিলেন মানুষ। যুবকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারিনি।' কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে অরিন্দমের বক্তব্য,'উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে চাইনি, তাই ২০১৭ সালে সমর্থন করেছিলাম। যাতে বলতে না পারে আপনি রাজনীতি করেছেন। আমার হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। যোগ্য লোকেদের কাজ দেওয়া হয়নি দলে।'      


 ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। ১৯,৪৮৮ ভোটে হারিয়েছিলেন নিকটতম তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে-কে। তখন অরিন্দম ভট্টাচার্য ছিলেন রাজ্যের যুব কংগ্রেস সভাপতি। ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এই সেদিনও তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কয়েক মাস ধরেই চলছিল জল্পনা। গত নভেম্বরে রাজ্যপাল শান্তিপুরের রাস উৎসবে যোগ দিতে গেলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন অরিন্দম। তাঁর গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর শান্তিপুর থানার সামনে ধর্নাতেও বসেছিলেন অরিন্দম।     


আরও পড়ুন- ভোটের আগে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিক কেন্দ্রীয় বাহিনী , স্বস্তি পাবে বাংলার মানুষ: মুকুল রায়