হিংসার আবহ তৈরি হওয়ায় পড়ুয়াদের ‘নেতৃত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেনা প্রধান
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, মানুষকে সঠিক পথ দেখানোই নেতৃত্বের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ পড়ুয়াদের একাংশের নেতৃত্বে বিভিন্ন শহরে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিএএ-এনআরসি বিরোধী উদ্ভূত হিংসার বিরোধিতা করে এই প্রথম মুখ খুললেন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। চলতি মাসেই অবসর নিচ্ছেন বিপিন রাওয়াত। তার আগে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতরতা নিয়ে সেনা প্রধানের মন্তব্যে জোর সমালোচনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, মানুষকে সঠিক পথ দেখানোই নেতৃত্বের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ পড়ুয়াদের একাংশের নেতৃত্বে বিভিন্ন শহরে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নেতৃত্ব এমন হয় না। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পুনে-সহ একাধিক জায়গায় পড়ুয়ারা সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন। দফায় দফায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে তাঁদের। জিমিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিস লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আহত হন বেশ কিছু পড়ুয়া। কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর প্রদেশে।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণ দেখায় বাধ সাধল মেঘ! মন খারাপ করে টুইট
তবে, প্রধানমন্ত্রী যোগীর রাজ্যে গিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের মনে করিয়ে দেন, অধিকারের সীমা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য সীমাহীন। বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু নিয়ে মুখ না খুলে কার্যত যোগী সরকারের পাশে দাঁড়ালেন নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। যোগী সরকার ইতিমধ্যেই নোটিস জারি করেছে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মূল্য বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বেচে চোকাতে হবে।